শহীদ হাদির হত্যার বিচার দাবিতে চবিতে গ্রাফিতি প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) স্টেশনে শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে এবং তার হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবিতে গ্রাফিতি ও দেয়াল-লিখন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যাম্পাস স্টেশনসংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা এবং বিভিন্ন হলের দেয়াল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টাইপোগ্রাফি ও ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে প্রতিবাদী বার্তা তুলে ধরা হয়।
একই দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় পুনরায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গ্রাফিতি অংকনের ঘোষণা দেন তারা।
গ্রাফিতিতে ন্যায়বিচার, প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ভাষা স্পষ্টভাবে উঠে আসে। দেয়ালজুড়ে লেখা হয়, হত্যাকারীর বিপক্ষে মজলুমের গালি হইলো মহাকাব্য, জান দেবো, জুলাই দেবো না, আমরা সবাই হাদি হবো-গুলির মুখে কথা ক’বো, আমি আমার শত্রুর সাথেও ইনসাফ করতে চাই, আমাকে কেউ যদি গুলি মারে তাকে যেন ধরে বিচার করা হয়, তুমি কে? আমি কে? হাদি! হাদি! হাদি!।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: দিপু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬
শিক্ষার্থীরা জানান, শহীদ হাদির আদর্শ ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নকে জনসম্মুখে জীবন্ত রাখতেই এই কর্মসূচি। রাষ্ট্রীয় নিরবতার বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দেয়াল-লিখনকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।
চবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুসলেমা খানম আঁখি বলেন, ওসমান হাদি একইসাথে একজন বুদ্ধিজীবী, একটিভিস্ট, রাজনীতিবিদ এবং জনতার কণ্ঠস্বর ছিলেন। দেশি-বিদেশি অপশক্তিকে ভয় না পেয়েই তিনি আমাদের কথা বলে গেছেন। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাঁর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারা গভীর উদ্বেগজনক।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “সরকারের এই ঘৃণ্য নিরবতার প্রতিবাদ এবং হাদির সংগ্রামকে প্রাসঙ্গিক রাখতেই আমরা এই দেয়াল-লিখন কর্মসূচি পালন করেছি। যিনি শত্রুর সাথেও ইনসাফ চেয়েছিলেন, সেই মানুষটির জন্য আমরা অরাজনৈতিক, স্বাধীন কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আয়োজকদের মতে, এই গ্রাফিতি কর্মসূচি কেবল স্মরণ নয়; বরং ন্যায়বিচারের দাবিতে একটি ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক ও প্রতিবাদী আন্দোলনের অংশ। আগামী দিনগুলোতেও একই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।








