ডাকসু নেতার বিতর্কিত পোস্ট ঘিরে উত্তাল, ক্ষোভের মুখে দুঃখ প্রকাশ

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মিনহাজ ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করেছেন। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে তিনি তা মুছে ফেলে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার মৃত্যু ঘোষণার পর মিনহাজ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, জকসু নির্বাচনকে ভয় পেয়েই কি আজকে ভোরে খালেদা জিয়ার মৃত্যু ঘোষণা?
পরে সমালোচনার মুখে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলে লিখেন, জকসু নির্বাচন স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে আমি পূর্বে যে পোস্ট করেছিলাম, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভুলটি সবাইকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: স্থগিত হওয়া জকসু নির্বাচন হবে ৬ জানুয়ারি
বিজ্ঞাপন
এর আগে বিতর্কিত পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, গতকাল সালাহউদ্দিন সাহেব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে কল দিয়ে নির্বাচন স্থগিত করতে বলেছেন। নির্ভরযোগ্য তথ্য থেকে শুনেছিলাম, জামাতের ৩ তারিখের মহাসমাবেশকে সামনে রেখে খালেদা জিয়ার মৃত্যু ঘোষণা দিবে ২ তারিখে। সমাবেশ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় জকসুতে পুঁজি করা গেল। আপসহীন দেশনেত্রী দেশের জন্য সবটুকু করে গেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের ছেলের থেকে লাশের রাজনীতির শিকার হওয়া থেকে মুক্তি পেলেন না। আল্লাহ বেগম খালেদা জিয়াকে জান্নাতবাসী করুন।
মিনহাজের পোস্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস হাসান বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যু নিয়ে সকাল থেকেই হতবিহ্বল ছিলাম। ভাবছিলাম, আপাতত ফেসবুকে কিচ্ছু লিখব না। কিন্তু এই ডাকসু নেতার পোস্ট দেখার পর আর কিছু বলার নেই।
বিজ্ঞাপন
আরেক শিক্ষার্থী তবিবুর রহমান বলেন, ন্যূনতম কৃতজ্ঞতাবোধ বা ভদ্রতা থাকলে এই ধরনের কথা মুখে আসত না।
এই ঘটনার পর সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের জন্ম হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাদের মৃত্যুতে প্রকাশিত পোস্টের নৈতিকতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা সরব হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন









