রাজধানীর গুলশানে রাজউকের মোবাইল কোর্ট, ৭ প্রতিষ্ঠান সিলগালা

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর জোন ৪/২ এর আওতাধীন গুলশান এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণের লক্ষ্যে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. লিটন সরকারের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এসময় আবাসিক ভবনে অননুমোদিত অ-আবাসিক/বাণিজ্যিক ব্যবহারের ফলে মোট ৭টি আবাসিক হোটেল ও সেলুন/স্পা সিলগালা করেছে। এ সময় ৯ জন নারী ও ৫ জন পুরুষকে থানায় সোপর্দ করেছে রাজউক।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) মোবাইল কোর্ট চলাকালে আবাসিক ভবনে অননুমোদিত স্পা ও সেলুন পরিচালনার কারণে গুলশানের ৪১ নাম্বার রোডের নাইস সেলুন সীলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় সেখান থেকে ১ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে’
এছাড়াও গুলশানের হোটেল আমারি-তে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় এবং ভবন ব্যত্যয় করায় হোটেলটি সীলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে হোটেলটিতে বিদেশী অতিথি অবস্থান করায় তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য শুধু সেই সকল রুম খালি করার জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়ে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
মোবাইল কোর্ট চলাকালে গুলশানের হোটেল লেকশোরে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক ব্যবহার করা হলেও মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক স্থিতাবস্থা থাকায় কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। অভিযানে গুলশানের ২৪ নাম্বার রোডের রতনপুর ক্যাসেল নামক ৬ তলা ভবনের ৪ টি তলায় অবৈধ স্পা ও সেলুন পরিচালনা করায় তা সীলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় ৮ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
অভিযানকালে ৪১ নাম্বার রোডের উডেন নাইস ফার্নিচার এ অননুমোদিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় তা সীলগালা করা হয়। ভবনের ব্যত্যয় রোধে ও অননুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে রাজউক এর নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।








