ওয়ালটন হাই-টেকের জয়যাত্রা, প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা বাড়ল ৪৮ শতাংশ

বিশ্ববাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির মতো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্য দেখিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
কোম্পানিটির কৌশলগত পরিকল্পনা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার ফলে প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয়, মুনাফা, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) এবং অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৫) আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কর পরবর্তী নিট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ে ১৪৯.০৩ কোটি টাকার তুলনায় ২২১ কোটি টাকায় পৌঁছে, যা প্রায় ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। বিক্রয়ের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ১৯.৪৬ শতাংশ বা ২৩৬.৩৫ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, চলতি সময়কালে আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.২৯ টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ৪.৯২ টাকা। শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া ২৯৫.৬৭ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৪০৭.০৪ টাকা হয়েছে। শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) বেড়ে ১৪.৭৯ টাকা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় যা ৩.৯২ টাকার ছিল।
এ অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর উল্লেখযোগ্য উন্নতির পেছনে মূল কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ক্রেতাদের কাছ থেকে আগের বছরের তুলনায় ১২৪.৭৫ কোটি টাকা বেশি আদায় এবং কাঁচামাল ও অন্যান্য সরবরাহকারীদের প্রদানের পরিমাণ ৩২৪.৫১ কোটি টাকা হ্রাস। এছাড়া, রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারের উপর ভ্যাট ৭.৫% থেকে ১৫% এবং লিফটে শূন্য থেকে ৫% বৃদ্ধি পাওয়ার পরও ক্যাশ ফ্লো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজমেন্ট জানায়, চলতি হিসাব বছরের পরবর্তী প্রান্তিকগুলোতেও বিক্রয় ও অন্যান্য আর্থিক সূচকের উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদী। কোম্পানির এ অর্জন আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও স্থানীয় শিল্পে প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বজায় রাখার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।








