শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত আজ

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় র্যাবের টিএফআই সেলে ১৪ জনকে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ দিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এ সংক্রান্ত আদেশ প্রদান করবেন।
একই দিনে আসামিপক্ষের দাখিল করা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনগুলোর ওপরও সিদ্ধান্ত দেবেন ট্রাইব্যুনাল। ফলে এই মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আসতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাদির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণের নির্দেশ
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারভুক্ত ১৭ আসামির মধ্যে বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন ১০ জন সেনা কর্মকর্তা। তারা হলেন—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম ও কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন এবং মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
অন্যদিকে, এই মামলার সাত আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ১১ অক্টোবর সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায়, সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর প্রেক্ষিতে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, দুই মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। এদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে এবং ১৫ জন তখন কর্মরত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে, আটক ও বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী কারাগার ঘোষণা করে ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।







