হাদি হত্যাকাণ্ড: আদালতে যা জানাল প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক

ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন হাদিকে বহনকারী অটোরিকশার চালক মো. কামাল হোসেন (৪৬)।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আহমেদ তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
জবানবন্দিতে কামাল হোসেন জানান, ঘটনার দিন তিনি দুজন যাত্রী নিয়ে খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে রিকশা চালাচ্ছিলেন। পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে পৌঁছানোর সময় একটি মোটরসাইকেল তাঁর রিকশার পাশে চলে আসে এবং যাত্রীর ওপর গুলি চালানো হয়। সাথে সাথে যাত্রী লুটিয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। পরে জানা যায়, গুলি প্রাপ্ত যাত্রীর নাম ওসমান হাদি।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে মাথায় গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু ঘটে।
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। হাদির মৃত্যুতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় ফয়সাল করিমের স্ত্রী, শ্যালক ও বান্ধবীকে গ্রেপ্তার করা হলেও, প্রধান আসামি ফয়সালের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।








