নির্ধারিত দিনেই শেষ হচ্ছে এবারের বানিজ্য মেলা


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নির্ধারিত দিনেই শেষ হচ্ছে এবারের বানিজ্য মেলা

মহামারী করোনার মধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আরোপিত বিধিনিষেধের আওতায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা চলছে। তবে নির্ধারিত সময় ৩১ জানুয়ারিই শেষ হচ্ছে এবারের মেলার কার্যক্রম, ফলে বাণিজ্যমেলার সময় আর বাড়ছে না। 

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাণিজ্যমেলার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তবে নির্ধারিত সময় ৩১ জানুয়ারিই মেলা শেষ হচ্ছে। মেলার সময় আর বাড়ছে না। শেষদিনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, ফলে ব্যবসায়ীরা মোটামুটি লাভবান হয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোডিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী, চলাচলে ৬ দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই বিধি- নিষেধের মধ্যে মেলা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

মন্ত্রিপরিষদের প্রজ্ঞাপণে বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত-স্কুল কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে। সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অবশ্যই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

প্রজ্ঞাপণে আরো বলা হয়, সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন।বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে।

উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি থেকে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২ শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১১টি দেশের ২২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি খাবারের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাবরের মতো এবারও মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিব বর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। 

তবে গত ২৫ জানুয়ারি ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বাণিজ্য মেলা বন্ধ করা এবং বইমেলার মতো আয়োজন পেছানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে এরপরও বাণিজ্যমেলা কার্যক্রম চলমান ছিলো।

আরএস