কর্ণাটকে মাঠের মধ‍্যেই আত্মহত্যা ধর্মগুরুর!


Janobani

সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত)

প্রকাশ: ১০:৫০ অপরাহ্ন, ২৬শে অক্টোবর ২০২২


কর্ণাটকে মাঠের মধ‍্যেই আত্মহত্যা ধর্মগুরুর!
ছবি: সংগৃহীত

গত সেপ্টেম্বরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন মাইসুরুর এক লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভারতের কর্ণাটকের একটি মঠে এক লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 


ওই ধর্মগুরু আত্মহত্যা করেছেন  বলে অনুমান পুলিশের। মাঠে তাঁর ঘর থেকে দু'পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রামনগর জেলার কাঞ্চুগাল বন্দে মাঠ এলাকায় অবস্থিত মাঠটি। নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় ওই ধর্মগুরুর দেহ। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই মাঠে পৌঁছায় পুলিশ। 


দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ধর্মগুরু। বাসব লিঙ্গ স্বামীজীর ঘর থেকে দু' পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রয়াত স্বামীজী গত ২৫ বছর ধরে রামনগরের ওই মাঠের প্রধান সন্ন‍্যাসীর পদে ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে প্রয়াত ধর্মগুরু অভিযোগ করেছেন, মাঠের বেশ কয়েকজন সতীর্থ তাঁকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র শুরু করছিল। যদিও ষড়যন্ত্রকারী কারা, কেন তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন, সেই বিষয়ে প্রয়াত লিঙ্গায়েত গুরু কিছু লিখিছেন কিনা সুইসাইড নোটে, সেই বিষয়ে খোলেনি পুলিশ।


আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ছিলেন লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি। তাঁকে প্রাথমিকভাবে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়া হলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল মাইসুরু শহর। শেষপর্যন্ত গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। 


মাইসুরু পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই ২ নির্যাতিতা কিশোরী মুরুঘা মাঠ পরিচালিত স্কুলে পড়ত। ১৫ ও ১৬ বছরের ওই ২ কিশোরীকে প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে ধর্ষণ করেন শিবমূর্তি। পরে বেসরকারি এক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত কথা খুলে বলে নির্যাতিতারা। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।


আরএক্স/