চীনের ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র এখন ইরানের হাতে


Janobani

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৫


চীনের ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র এখন ইরানের হাতে
ছবি: সংগৃহীত

চীনের কাছ থেকে ভূমি-থেকে-আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র–ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে ইরান। ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পুনরায় শক্তিশালী করতে তেহরান নিজেদের অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করার দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছে। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ দিনের যুদ্ধে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলো দ্রুত পুনর্গঠন করতে চাইছে ইরান। সেই লক্ষ্যেই চীন থেকে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করেছে দেশটি।


আরও পড়ুন: পারমাণবিক আলোচনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ইরানের


প্রতিবেদন মতে, গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পরই এইচকিউ-৯বি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চালান সরবারহ সম্পন্ন হয়। 


আরেক আরব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরব মিত্ররা তেহরানের এই প্রতিরক্ষা জোরদারের প্রচেষ্টা বিষয়ে সচেতন এবং হোয়াইট হাউসকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।

 

তবে ইরান ঠিক কতটা ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা হাতে পেয়েছে তা নিশ্চিত করেননি ওই আরব কর্মকর্তারা। তবে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরান এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার মূল্য তেল দিয়ে শোধ করছে।


আরও পড়ুন: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা! চীন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে ন্যাটোর হুঁশিয়ারি

 

মিডল ইস্ট আই বলেছে, চীন ও ইরানের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক যে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ তারই ইঙ্গিত দেয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নজিরবিহীন সামরিক আগ্রাসনে ইরানকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়নি চীন ও রাশিয়া।

 

উল্লেখ্য, বহু আগে থেকেই চীন থেকে সামরিক সরঞ্চাম আমদানি করছে ইরান। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে চীন থেকে এইচওয়াই-২ সিল্কওয়ার্ম ক্রুজ মিসাইল হাতে পায় দেশটি। তখন তারা ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। এই মিসাইল দিয়ে তারা কুয়েত ও একটি মার্কিন পতাকাবাহী তেল ট্যাঙ্কারেও হামলা করেছিল।


এমএল/