কবর দেওয়ার পর যে আমল বা দোয়া করতে হয়


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


কবর দেওয়ার পর যে আমল বা দোয়া করতে হয়

শরিয়তের দৃষ্টিতে কবর দেওয়ার পর কী কী আমল করতে হয়, তা জেনে রাখা জরুরি। তাহলে পরিচিত কিংবা অপরিচিত কেউ মারা গেলে, কবর দেওয়ার পর যথাযথ আমলগুলো করা সম্ভব হবে।

মানুষের জন্য তিনটি কাজ তাড়াতাড়ি করা আবশ্যক। মৃতব্যক্তির দাফন-কাফন এ তিনটির একটি। যদি কোনো মানুষ মারা যায়, বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব দাফন-কাফন করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দাফনের পর মৃতব্যক্তির জন্য দোয়া করা আবশ্যক।

হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মৃতব্যক্তিকে দাফন করে অবসর হতেন তখন বলতেন, তোমরা তোমাদের (মৃত) ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর; তোমরা তার জন্য কবরে স্থায়িত্ব চাও (সে যেন ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে) এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। (আবু দাউদ, মিশকাত)

প্রথমত জানাজার নামাজ শেষে আল্লাহর রাসুল (সা.) শেখানো পদ্ধতিতে কবর জিয়ারত করা উচিত। নবী কারিম (সা.) ও সাহাবা-তাবেয়ি থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। রাসুল (সা.) এর জিয়ারত কেমন ছিল তা উসমান (রা.) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর তার কবরের কাছে কিছুক্ষণ দাঁড়াতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে বলতে, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা কর এবং তার অবিচলতার দোয়া কর। কারণ, তাকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩২১৩)

বুরাইদা (রা.) বলেন, যখত তারা কবর জিয়ারত করতে যেতেন রাসুল (সা.) তাদের শিখিয়ে দিতেন। তারা এভাবে বলতেন

আরবি :

السَّلامُ عَلَيكُمْ أَهْلَ الدِّيارِ مِنَ المُؤْمِنِينَ والمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ، أَسْأَلُ اللَّه لَنَا وَلَكُمُ العافِيَةَ

 উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম আহলাদ দিয়ারে মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমিন; ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু লালা-হিকুন, আসআলুল্লাহা লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াহ।

অর্থ : সব মোমিন ও মুসলিম কবরবাসীর ওপর সালাম (শান্তি)। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাও আপনাদের (মৃতব্যক্তিদের) সঙ্গে মিলিত হবো। আমরা আমাদের এবং আপনাদের ক্ষমার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাদিস : ৯৭৫)

কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সুরা ফাতেহা, সুরা বাকারার শুরু ও শেষের দিকের আয়াতগুলো পড়ার বিধান তাবেয়িদের আমল থেকে পাওয়া যায়। বিখ্যাত তাবেয়ি আলা ইবনে লাজলাজ (রহ.) বলেন, “তার বাবা ইন্তেকালের আগে তাকে নসিহত করেছেন। হে ছেলে! আমার ইন্তেকালের পর যখন তোমরা আমাকে কবর দিবে তখন তোমরা আমাকে লাহদ (বোগলী) কবরে রাখবে এবং ‘বিসমিল্লাহি ও আলা সুন্নাতি রাসুলিল্লাহ বলে সুন্দরভাবে মাটি দিবে। তারপর আমার মাথার কাছে সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার শুরু ও শেষের অংশগুলো পাঠ করবে। কেননা আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমরকে এটা করতে দেখেছি। (তারিখে ইবনে মাঈন : ২/৩৭৯, হাদিস : ৫২৩৮)

জি আই/