‘যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, ২রা নভেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন এবং সিউল তাদের এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে; যা শেষ হবে আগামী শুক্রবার। এই মহড়া শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন ধরনের সামরিক মহড়ার জবাবে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ২০১৭ সালের পর পিয়ংইয়ং প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ক্রমাগত গুরুতর সামরিক উসকানি অব্যাহত রাখে তাহলে উত্তর কোরিয়া আরও শক্তিশালী ফলো-আপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
‘নিজেদের নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য যথাযথ নয়, এমন কোনও গুরুতর পরিস্থিতি যদি ওয়াশিংটন না চায়, তাহলে তাদের অনর্থক এবং অকার্যকর যুদ্ধের মহড়া অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। যদি এই মহড়া বন্ধ না করা হয়, তাহলে পরবর্তী সব পরিণতির দায় ওয়াশিংটনকেই নিতে হবে।’
‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে সোমবার ওয়াশিংটন এবং সিউল সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এতে দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান টানা ২৪ ঘণ্টা আক্রমণ চালানোর মহড়া চালাচ্ছে।
অক্টোবরের শুরুর দিকে কোরীয় উপদ্বীপের কাছে পারমাণবিক-শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগান মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সময় ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে উত্তর কোরিয়ার জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হয়। পরে কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর এক সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় মার্কিন এই রণতরী।