বৃদ্ধাশ্রমে প্রকৌশলীর মৃত্যু, দাফনে আসেনি সন্তানরা


Janobani

জনবাণী ডেস্ক

প্রকাশ: ১০:০১ অপরাহ্ন, ৩রা নভেম্বর ২০২২


বৃদ্ধাশ্রমে প্রকৌশলীর মৃত্যু, দাফনে আসেনি সন্তানরা
ছবি: ইন্টারনেট

রংপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে অসুস্থ অবস্থায় মারা গেছেন এক বৃদ্ধ প্রকৌশলী। তার জানাজায় অংশ নেয়নি সন্তানরা।


গত সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করেন। এর আগে, রোববার (৩০ অক্টোবর) ওই বৃদ্ধাশ্রমে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান তিনি। পরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তার কোনো সন্তান ও স্বজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।


মৃত ব্যক্তি হলেন- বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামের মৃত এস এ আবুল কাশেমের ছেলে এস এম মনসুর আলী (৭৫)। তিনি টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।


জানা গেছে, প্রায় ৬ মাস আগে গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ চাঁদশী গ্রামে মনসুর আলীর রংপুর নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের হারাগাছ থানাধীন বকসা বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই হয়। রোববার বিকেলে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর খবর জেনেও বৃদ্ধাশ্রমের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি ছেলে-মেয়ে ও কোনো স্বজন।


এদিকে রংপুরের বকসা বৃদ্ধাশ্রমের সদস্য সচিব নাহিদ নুসরাত বলেন, বৃদ্ধ মনসুর আলী ২০২২ সালের জুন মাসে অসুস্থ শরীরে আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে আসেন। এরপর থেকে আমাদের বৃদ্ধাশ্রমেই ছিলেন তিনি। তিনি বলেছেন, টিঅ্যান্ডটি বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ঢাকার মিরপুর স্টেডিয়ামের কাছে তার বহুতল ভবন আছে।


এ বিষয়ে চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, মৃত মনসুর আলীর সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত। ঢাকায় তার নিজের জমি-বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সন্তানরা সম্পত্তির লোভে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে তিনি রংপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে ছিলেন। সেখানেই মারা যান তিনি।


তিনি আরও জানান, এই বিষয়টি আমরা জানতাম না। তার মরদেহ যখন গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, তখন কিছুটা অবাক হই। কারণ, এই মানুষটির সঙ্গে গ্রামের বাড়ির লোকদেরও কোনো যোগাযোগ ছিল না। জানতে পারি তার দুই ছেলে-মেয়ের কেউ জানাজায়ও আসেনি।

জেবি/ আরএইচ/