বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, ১৬ই নভেম্বর ২০২২
বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগ।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের পরিচালক জন উইলমোথ বলেন, ৮০০ কোটিতে পৌঁছানো মানুষের সাফল্যের লক্ষণ, তবে এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় ঝুঁকি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টার দিকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়ায়। ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ৩টার দিকে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল ৮০০ কোটি ৮ হাজার জন। এর মধ্যে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬১ হাজার ৯২৩ জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টমে।
জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যম আয়ের দেশগুলো বিশেষ করে এশিয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। ২০১১ সাল থেকে এই অঞ্চলে ৭০ কোটি মানুষ বেড়েছে। ভারতে মানুষ বেড়েছে প্রায় ১৮ কোটি। আগামী বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। বিশ্বে চীন ও ভারতে যৌথভাবে ১০৪ কোটি করে মানুষ বসবাস করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাপানে জন্মহার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। জনসংখ্যার হার কমায় চীন এখন তার এক শিশু নীতি কর্মসূচি বদলাচ্ছে। গত বছর পরিবারগুলোকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার। তবে বিশ্বের কিছু দরিদ্র দেশ, যার বেশিরভাগই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে, সেখানে উচ্চ প্রজনন হারের ফলে জনসংখ্যা বেড়েছে। এতে তাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ঝুঁকিতে পড়েছে।
জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা যা ছিল, আজকের সংখ্যা তার তিনগুণ। বিশ্বে যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জনসংখ্যার জন্য দীর্ঘ আয়ুকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০২০ সালে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নিচে নামে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জন্মাহার কমেছে, নারীদের কম সন্তান হচ্ছে।
অপরদিকে বয়স্ক জনসংখ্যায় পরিণত হচ্ছে বৈশ্বিক জনসংখ্যা। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের ওপর। ২০৫০ সালে এটা ১৬ শতাংশে উন্নীত হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই মাইলফলকটি বৈচিত্র্য এবং অগ্রগতি উদযাপনের একটি উপলক্ষ, পৃথিবী নামক গ্রহটির জন্য মানবতা ভাগাভাগি করার দায়িত্বের কথা বিবেচনা করে।
এদিকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তার অর্ধেক হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস এবং সংযুক্ত তাঞ্জানিয়া।
জেবি/ আরএইচ/