নাগা না থাকলে মায়ের সাথেও যোগাযোগ হতো না: সামান্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
![নাগা না থাকলে মায়ের সাথেও যোগাযোগ হতো না: সামান্থা](https://janobani.com/big_image/1644299833XFfDzHsl.jpg)
আমেরিকাতে গিয়ে টাকা ফুরিয়ে গিয়েছিল, নাগা চৈতন্য না থাকলে মায়ের সাথেও যোগাযোগ হতো না বলে জানিয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ সালে তেলেগু ছবি ‘ইয়ে মায়া চেসাবে’তে কাজ করতে গিয়ে সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য একে অপরের প্রেমে পড়েন। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর হিন্দু রীতিতে এবং পরদিন খ্রিস্টান রীতিতে বিয়ে হয় তাদের। সেই বিয়ে এখন ইতিহাস।
সেই সামান্থাই ২০২১ সালের ২ অক্টোবর লিখেছেন, আমাদের সব শুভাকাঙ্ক্ষীর উদ্দেশে বলছি, অনেক আলোচনা ও চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা স্বামী-স্ত্রী দু’জন দু’জনের পথ খুঁজে নিয়েছি। আমরা ভাগ্যবান যে এক দশকের বেশি সময় ধরে আমাদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব ছিল, যা আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি, আমরা বিশ্বাস করি, সব সময় আমাদের মধ্যে সেই বন্ধন থাকবে। আমাদের ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গণমাধ্যমের বন্ধুদের অনুরোধ, এ রকম একটা কঠিন সময়ে আমাদের পাশে থাকুন এবং আমাদের নিজের মতো থাকার সুযোগ দিন। সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।।
নাগা আর সামান্থার বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে সামান্থার শ্বশুরবাড়ির নিষেধ সত্ত্বেও সাহসী দৃশ্যে অভিনয়কে কারণ হিসেবে দেখানো হয়। যদিও সামান্থা সরাসরি এই নিয়ে কথা বলেননি। কিন্তু ২০১৯ এ তামিল সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সামান্থা বলেন, চৈ (নাগা চৈতন্য) একদম স্বামীর মতো। একজন আদর্শ স্বামীর যা যা গুণ থাকে চৈ-এর মধ্যে তাই আছে। যখন ওর সঙ্গে আলাপ হয় আমি তখন শূন্য ছিলাম। আমাকে জীবনে সবচেয়ে বেশি ভুল করতে দেখেছে চৈতন্য।
সামান্থা জানান, চৈ-এর মতো সঙ্গীকেই যে তিনি বিয়ে করবেন এটাই স্বাভাবিক। একটি বিশেষ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনেন সামান্থা। বলেন, একবার আমেরিকায় গিয়েছিলেন তিনি। তার হাতে একটা টাকাও ছিল না। এমনই অবস্থা মাকে ফোন অবধি করতে পারছেন না! এই সময় নাগার ফোন থেকেই তিনি তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তার দাবি ছিল মানুষ হিসেবে তার চৈ তাকে সবচেয়ে ভালো চেনেন। যদিও এই ‘ভালো’ চেনা বিশেষ কাজে আসেনি। তাদের বিচ্ছেদ অনিবার্য হয়ে ওঠে।
এসএ/