শ্রীনগরে শীতকালীন ডাটা চাষে স্বাবলম্বী কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, ২৫শে জানুয়ারী ২০২৩


শ্রীনগরে শীতকালীন ডাটা চাষে স্বাবলম্বী কৃষক
শীতকালীন ডাটা চাষ

শ্রীনগরে শীতকালীন ডাটা চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক। অল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল দেশী জাতের কাজলা নামক ডাটার বাণিজ্যিক চাষে স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। বিভিন্ন আগাম শাক-সবজির পাশাপাশি রিষ্টপুষ্ট সবুজ রংয়ের এসব ডাটা চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। 


পাইকারী দলে প্রতি আঁটি (৫/৬ পিস) ডাটা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা। খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা দরে। উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের সোন্ধারদীয়া, পানিয়া ও ব্রাক্ষনখোলা এলাকার সবজি চাষীরা বিভিন্ন জমিতে ডাটা চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬শত’ হেক্টর জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন শাক-সবজির চাষাবাদ করা হচ্ছে। 


উচ্চ ফলনশীন শাক-সবজি চাষের জন্য তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তন্তর এলাকায় আলু, ফুলকপি, টমেটো, লাউ, মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছেন স্থানীয়রা। 


এর মধ্যে বেশকিছু জমিতে আগাম ডাটার চাষ হচ্ছে। প্রচুর পরিমানে ডাটায় জমিগুলো ঢাকা পরেছে। ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। এ সময় লক্ষ্য করা যায়, একটি জমিতে কয়েকজন শ্রমিক ডাটা তুলে আটি বাঁধছেন। মো. আক্তার হোসেন ও আক্কাস মোল্লা বলেন, দৈনিক ৬শত’ টাকা রোজে জমিতে কাজ করছেন। 


বিকালে এসব ডাটা রাজধানীর সবজির বাজারে নেওয়া হবে। পার্শ্ববর্তী সিরাজদীখান উপজেলার মালখানগর এলাকার মো. শাহিন বলেন, ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে ৪২ শতাংশ জমির ডাটা কিনেছেন তিনি। শ্রমিকরা ৬দিন ধরে ক্ষেতের ডাটা তুলছেন। 


এ ধরনের ডাটা স্বাদ ও পুষ্টিগুনে ভরপুর। বর্তমান সবজির বাজারে কাজলা ডাটার চাহিদা ব্যাপক। স্থানীয় কৃষক শেখ আয়নাল হোসেন বলেন, মোট ১১ গন্ডা (৭৭ শতাংশ) জমিতে এই জাতের ডাটার চাষ করেছি। সোন্ধারদীয়, পানিয়া, সিংপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী ছাইতানতলী এলাকায় আমার মত অনেকেই কাজলা ডাটা চাষ করেছেন। ৪০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উৎপাদিত ডাটা বিক্রি করা যাচ্ছে। ডাটা চাষে লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।


আরএক্স/