ইরি-বোরো মৌসুমে ধান রোপনে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষকরা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫৫ এএম, ২৮শে জানুয়ারী ২০২৩


ইরি-বোরো মৌসুমে ধান রোপনে ব্যস্ত বিরামপুরের কৃষকরা
ধান রোপনে ব্যস্ত কৃষক

জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঘর থেকে বের হওয়াই যেন দায়। শিবচরে বোরো বীজতলা থেকে চারা তুলে ফসলি জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। কনকনে শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ ও বীজ তুলছেন তারা। কেউ জমিতে হাল দিচ্ছেন, কেউ তৈরি জমি ভিজিয়ে রাখছেন সেচ দিয়ে। সব কাজ শেষ করে অনেকে বীজতলা থেকে চারা তুলে রোপণ করছেন খেতে। চারা রোপণসহ প্রতিটি কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করলেও শান্তি নেই কৃষকের মনে। হতাশা সবার মধ্যে। কারণ ধানের ন্যায্য দাম না পেলে লোকসান গুনতে হবে।


শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলার চন্ডিপুর, শ্রীপুর, দূর্গাপুর, দাড়ারপাড়সহ আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা যায় ধান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত, বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা তুলে রোপণ করা হচ্ছে। আবার জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত অনেকে।


শ্রীপুর এলাকার ধান চাষি নুর আলম বলেন, তেলের দাম বাড়ায় টিলার মেশিন দিয়ে হালচাষের খরচ বাড়ছে। কৃষি কাজই আমাদের পেশা। অন্য কাজ জানি না। কয়েক বছর ধরে লোকসান গুনছি, তবু আশায় বুক বেঁধে বোরো আবাদ করছি।’


একই এলাকার কৃষক আলোমগীর  বলেন, ‘আমাদের এলাকা কৃষিনির্ভর। এ অঞ্চলের প্রায় সব কৃষক বর্গাচাষি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি চাষ করেন অনেকে।’


চন্ডিপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘বোরো ধান চাষ করতে বীজতলা তৈরি করেছি। বীজ বড় হয়েছে। জমি প্রস্তুত করা শেষ। দুই এক দিনের মধ্যে জমিতে বীজ রোপণ করবো।


দাড়ারপাড় এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, এক ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বোরো ধান চাষ করতে সার ও বীজ পেয়েছি।


বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ১৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গতবছর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর। দাম ভালো এবং ফলন বাম্পার হওয়ায় এবার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করছি এবারও কৃষকেরা তাদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলে লাভবান হতে পারবেন।


আরএক্স/