সীতাকুন্ডের টমেটোর খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশ-বিদেশে


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৩


সীতাকুন্ডের টমেটোর খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশ-বিদেশে
টেমেটো

চট্টগ্রাম সীতাকুন্ডে হরেক রকম স্ববজীর খ্যাতি রয়েছে বহুকাল ধরে। শীতকালীন সু-স্বাধু স্ববজী  শিম উৎপাদনে শীর্ষ স্থান দখলে করে থাকায় চাহিদা ব্যাপক। বর্ষায় পাহাড়ী টিলার জুম চাষীদের উৎপাদিত স্ববজী স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরা স্ববলম্বি হচ্ছে। তাইতো উৎপাদনের ক্ষেত্রে সমান হারে অন্যান্য জেলার নেয় দখল করে আছে গুরুত্বপূর্ন স্থান।


ভৌগলিক দিক থেকে সীতাকুন্ডে সব রকমের স্ববজীর ফলন রয়েছে। তিন ফসলি ধানের সাথে বছর জুড়ে ২০ প্রকার সবজীর ফলন ফলায় চাষীরা। উপকূলীয় বাঁধ ও টিলা বেষ্টিত পাহাড়ি ভূমির উৎপাদিত স্ববজী দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিশ্ব বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। 


সভ্যতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করায় সবজি ভান্ডারের খ্যাতি লাভ করেছে। তবে সকল প্রকার সবজির মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সফলতা পেয়েছে নানা জাতের টমেটো।


প্রতি বছর শীত মৌসুমে টমেটো আবাদ করে কয়েক লক্ষ টাকার আয় ঘরে তুলে চাষীরা। ফলে অন্যান্য  সবজির চেয়ে টমেটো চাষকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারননের লোকজন।


চাষীরা বলেন,‘ভাল ফলন হওয়ায় শীম ও টমেটো ফললে আগ্রহী  চাষীরা। তাই শীতের মাঝামাঝি হতে টমেটোর চাষাবাদ শুরু হয়। বীজতলাতে বীজ বপনের পর সারিবদ্ধভাবে চারাগাছ লাগানো হয়। এক ফুট দুরত্বে লাগানো চারা গাছগুলো প্রায় ৫-৬ ফুট লাম্বাকৃতির চারাগাছে ৩৫ দিন পর ফলন আসে। একেকটি গাছে কমপক্ষে ১০-২০ কেজি টমেটো পাওয়া যায়। আহরনকৃত টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে মেটায় পুষ্টি চাহিদা। টমেটো চাষে বাৎসরিক প্রায় কোটি টাকার আয় হয় বলে জানান গুলিয়াখালীর চাষী মোহাম্মদ আলি। 


সূত্রমতে, টমেটো চাষের ক্ষেত্রে বাড়বকুন্ড, মুরাদপুর ও সৈয়দপুর ইউনিয়নের আবাদী  জমিগুলো  উপযোগী  হওয়ায় কৃষকদের টমোটো চাষে অধিক আগ্রহ। দোঁআশ মাটি টমোটো চাষের জন্য খুবই উপযোগী। অক্টোবর-নভেম্বরের শুরুতে বীজ তলা প্রস্তুতের মাধ্যমে চলতে থাকে থাকে টমেটোর আবাদ। টমোটা চাষে অন্যন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের চেয়ে মাচাং পদ্বতিতে চাষাবাদে ফলন ধরে বেশী। নোভা, প্রোপিটা,লাল বাহাদুর, বিজলী, সোনালী, বাহুবলী, আপন, ভেল্টা, হাইটমসহ স্থানীয় জাতের টমোটা চাষে ব্যাপক সফলতা পায় কৃষকরা। 


টমেটো ক্ষেতে সাদা মাছি পোকা, ছিদ্রকনর পোকা,পাতা সুড়ঙ পোকা, আকা ধসা, বুস স্টার রোগে টমেটো আক্রান্ত হয়। আর কিটনাশক ব্যবহারের ফলে রোগ-বালায় নিরাময় করে উৎপাদন ঠিক রাখতে জমিতে জৈব, ইফরিয়া ও এম পিও সার প্রযোগ করতে হবে। উপজেলার ১০ হাজার হেক্টর কৃষি জমির প্রায় ৫ হাজার ৩’শ হেক্টার স্ববজী চাষের ৩’শ ৬০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষাবাদ হয়। টমেটোর আয়স্কাল হল ১’শ হতে ১২০ দিন। এবারও গত বছর তুলনায় উৎপাদনের লক্ষমাত্র ছাড়াবে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লা।