কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে জাজিরার কৃষকদের


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:২১ অপরাহ্ন, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৩


কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে জাজিরার কৃষকদের
কুল বাগান

উন্নত জাতের কুল চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। শরীয়তপুরের জাজিরায় ব্যাপক হারে বেড়েছে কূল চাষ। এতে করে জাজিরার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ভাগ্যবদলেছে হাজারো কৃষকের।


স্বাদ ও পুষ্টিতে উৎকৃষ্ট মানের মৌসুমি ফল কুল। জাজিরার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। বর্ষায় পানি উঠেনা এমন জমি কুল চাষের জন্য উপযুক্ত। যে জমিতে ধান-সবজিসহ প্রচলিত ফসলের ফলন তেমন ভালো হয়না। এমন পতিত জমিতে কুল চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে অনেকেই।


বছরের পর বছর এসব জমিতে প্রচলিত ফসলের আবাদ করে লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। তাই এসব জমি ছিলো অনাবাদি। অনাবাদি এসব জমিতে লোকসান হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই কুল বাগান সহ অনন্য ফসল করতে সাহস পাননি। তবে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে প্রথমে হাতে গোনা কয়েকজন কুল চাষ শুরু করেন। বর্তমানে জাজিরায় প্রায় ৪-হেক্টর জমিতে কুল বাগান রয়েছে।


সম্প্রতি জাজিরার বড় গোপালপুর, সেনের চর ও মূলনা ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় অনেক কুল বাগান রয়েছে এসব গ্রামে। উন্নত জাতের কাশ্মীরী কুল, আপেল কুল, বল সুন্দরীসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি জাতের কুল রয়েছে এসব বাগানে।


বাগান গুলোর ভিতরে গেলে দেখা যায় মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার এক-একটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে আপেল আকৃতির বড় বড় সব কুল। কুলের ভরে গাছের ডাল যেনো মাটিতে নুইয়ে না পড়ে সেজন্য বাঁশের সাথে রশি দিয়ে ডালগুলো বেঁধে দেয়া হয়েছে। এবছর কুলের ভালো ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকেরাও।


বালিয়া কান্দি গ্রামের কুল চাষি মো. সামিম মাদবর জানান, তিনি দুই বছর আগে প্রথমে ৮'কাঠা জমিতে কুল বাগান করেন। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাকে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন। সে বছর কুল বিক্রি করে ভালো লাভ হওয়ায় বাড়ির পাশে আরও দেড় বিঘা জমি লিজ নিয়ে কুল বাগান করেছেন।


গোপালপুরের সূজাত ফকির নামে আরেক কুল চাষি জানান, যে জমিতে প্রচলিত ফসল কম হয় সে জমিতেও কুল চাষ করা যায়। এবং ভালো ফলনও হয়। কুল চাষে পরিশ্রম কম এবং সৌখিন ফসল হিসেবে পরিচিত। উচ্চ ফলনশীল এসব কুল চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এখন অনেকেই কুল চাষে ঝুঁকছে।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছর জাজিরা উপজেলায় ৪'হেক্টর জমিতে কুল বাগান করা হয়েছে। এবং ১০'টি প্রদর্শনী বাগান রয়েছে।


জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন বলেন, জাজিরার মাটি কুল চাষের জন্য উপযোগী। উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয় কাশ্মীর এবং বল সুন্দরী জাতের কুল বেশি লাভজনক। তাই এই জাতের কুল জাজিরায় বেশি চাষ হয়। কেউ কুল চাষে আগ্রহী হলে আমরা তাদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করে থাকি।


জেবি/এসবি