অপহৃত ১৬ জেলে উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৩
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অপহৃত ১৬ জেলেকে ৪ দিন পর উদ্ধার করেছে কক্সবাজারের মহেশখালী থানার পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অস্ত্র সহ ৩ জলদস্যূকে আটক করা হয়েছে। অপর এক অভিযানে কুতুবদিয়া থেকে অস্ত্র সহ ৩ জলদস্যূকে আটক করেছে র্যাব ৭।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে মহেশখালী থানা পুলিশ ঘটিভাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে জড়িত ৩ জলদস্যূকে আটকের পর তাদের দেয়া তথ্য মতে ১৬ জেলেকে উদ্ধার করে।
মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক মীর এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহেশখালী থেকে আটক হওয়া জলদস্যূরা হলেন, মহেশখালীর কুতুবজোমের তাজিয়াকাটা এলাকার মোহাম্মদ জাফরের ছেলে মোহাম্মদ কাইছার (১৯), আব্দুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ সোনা মিয়া (১৯) ও মকবুল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২৬)। এসময় উদ্ধার করা হয়, ২টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক, ১টি দেশীয় তৈরী লাইটার গান (এলজি), ২টি কিরিচ, ১টি দা, ১০টি মোবাইল ফোন ও মাছ ধরার ট্রলারের ইঞ্জিনের সেলফ।
মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক মীর জানান, গত ২৯ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে কক্সবাজারের নাজিরার টেক এলাকা থেকে ১৬ মাঝি-মাল্লাসহ এফবি ভাই ভাই-০৩ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে যায় জলদস্যুরা। কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে শাহাদত হোছেনের মালিকানাধীন এ ট্রলার জেলে সহ নিয়ে যাওয়ার পর কক্সবাজার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য পেয়ে পুলিশের একটি দল মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকার মঞ্জুর নামের একজনের অভিযান চালায়। অভিযানে মোহাম্মদ কাইছার ও আব্দুল মালেককে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে শাহাদত হোছেনের মালিকানাধীন ট্রলারটি ঘটিভাঙ্গা ঘাট থেকে জেল সহ উদ্ধার করা হয়। এসময় আটক করা হয় মোহাম্মদ তারেক নামের আর একজনকে।
এব্যাপারে পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে ও ট্রলার মালিক বাদি হয়ে ডাকাতির ঘটনায় আলাদা ২টি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
অপর দিকে, কুতুবদিয়া থেকে ৮ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২২ রাউন্ড গুলিসহ শীর্ষ জলদস্যূ মোশারফ বাহিনীর প্রধান মোশারফ হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে র্যাব ৭।
বৃহস্পতিবার ভোরে কুতুবদিয়ার বড়খোপ এলাকার মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন ঝাউবাগানে এ অভিযান চালানো হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার।
আটক জলদস্যূ প্রধান মোশারফ হোসেন কুতুবদিয়ার সিকদার পাড়ার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। আর সহযোগী মো. আজিজ (২৩) সন্দীপ পাড়ার নুরুল আবছারের ছেলে এবং মো. রবিউল হাসান (২০) সিকদারপাড়ার মো. জাবেদ আহম্মেদর ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটকরা সাগরে জলদস্যূতার পাশাপাশি ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে লবণ চাষীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। এসময় ৩টি এসবিবিএল, ৪টি এলজি এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। শীর্ষ জলদস্যূ মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় সরকারী সম্পত্তি আত্মসাধ, সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা এবং মাদক সংক্রান্তে ৬ টি মামলা রয়েছে।। এব্যাপারে মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরএক্স/