খানসামায় বোরো ধানে চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৩


খানসামায় বোরো ধানে চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক
বোরো চাষে ব্যাস্ত কৃষক

দিনাজপুরের  খানসামায়  সকালের ঘন কুয়াশামাখা কনকন শীতকে উপেক্ষা করে ভোর সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরো চাষের জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বোরো চাষে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন তারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু সুখে থাকবেন এটিই তাদের চাওয়া।


জানা গেছে, বোরো চাষে জমির আইল কোদাল দিয়ে সমান করা, সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ, পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা। বর্তমানে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা, কোথাও কোথাও গভীর নলকূপ থেকে চলছে পানিসেচ। ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের কাজ হচ্ছে। মই দিয়ে চলছে মাঠ সমান করার কাজ। আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউ বা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন ক্ষেতে। আমন ধানের ভালো ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের বোরো ধান চাষে  এবার আগ্রহ বেড়েছে।


সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেধ ইরি- বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। কৃষকদের যেন দম ফেলার সময় নেই। কৃষকদের মধ্যে কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, কেউ চারা রোপণ করছেন, আবার কেউ জমিতে হালচাষ করছেন। কৃষকরা জানায়, সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে চলতি মৌসুমেও ইরি-বোরোতে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন  ২৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ২৯৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছি। বোরো চাষাবাদের জন্য হাইব্রিড ৫৫০ হেক্টর, উফশি ২৩৯০ হেক্টর জমিতে রোপনের জন্য বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। হাইব্রিড ৩০ হেক্টর, উফশি ১৫০ হেক্টর,  এ পর্যন্ত  ১৮০  হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।  এখন পযন্ত অর্জিত হয়েছে  ​২০০ হেক্টর জমিতে। 


আঙ্গারপাড়া  গ্রামের কৃষক মোকলেছুর , নুরআমিন , নাজিমুল  বলেন, আমরা বোরো ধান লাগানো শুরু করছি। এ বছর জমিতে পানি দিতে হচ্ছে কাঠা প্রতি ৬০০- ৭০০ টাকা। যেখানে অন্যান্য বছর কাটা প্রতি ৫০০ টাকা করে লাগতো। এছাড়াও কাজের লোকের অভাবে নিজেরাই ধান লাগাইতাছি'। এদিকে কৃষকরা যেনো সঠিকভাবে বোরো চাষ ও পরিচর্যা করতে পারে সেজন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন। 


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হাবিবা আক্তার     বলেন, খানসামা  সবসময় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা আশা করি এইবারও বোরোর বাম্পার ফলন হবে। তাতে চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে রপ্তানি হবে।


উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আ.হ.ম. জাহেদুল ইসলাম  বলেন, এবার ২৯৪০  হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায়  বলেন, ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। কৃষকদেরকে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সহ সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।


আরএক্স/