২ হাজার বিঘা জমি অনাবাদি থাকার শষ্কায় কৃষক
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:২৭ অপরাহ্ন, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি এবং উজানের বিভিন্ন এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে পানির স্রোতের সাথে বালু মাটি এসে পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের নিচু এলাকার আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে চিনা বাদাম ও তিল মৌসুমে অনেক আবাদি জমি অনাবাদি থাকার আশংকা প্রকাশ করছেন উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা।
জানা যায়, গত বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার চর সাঁড়াশিয়া, হাটাইল-আড়ালিয়া, চরনাগদাহ, চরনাকালিয়া, চরপেঁচাকোলা, চর পাইখন্দ, চর সাফুল্লা সহ বিভিন্ন এলাকার নিচু জমিগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়লে ক্ষতি সাধিত হয় বিভিন্ন ফসলাদির জমি।
বর্তমান অধিকাংশ জমি হতে পানি নেমে গেলেও জমিতে পড়ে রয়েছে বালুর স্তর, চরসাঁড়াশিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল ছাত্তার বেপারী বলেন, তার ৪ বিঘা আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চরসাফুল্লা গ্রামের চাষি গজনবী বলেন তার ১৫ বিঘা জমিতে বালু পড়েছে।
আচান মোল্লার ৪ বিঘা, হাবিবর মোল্লার ৫ বিঘা, গফুর মোল্লার ৬ বিঘা, শাহাদৎ মোল্লার ৭ বিঘা, আইযুব মোল্লার ৪ বিঘা, ইয়াকুব মোল্লার ৬ বিঘা, চরনাগদাহ গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক মোল্লার ৮ বিঘা, বাতেন মোল্লার ১০ বিঘা, কাদের মোল্লার ২০ বিঘা, আফান মোল্লার ৫০-৬০ বিঘা আবাদি জমিতে বালু পড়ে জমি বিনষ্ট হয়ে গেছে।
উল্লেখিত কৃষক ছাড়াও এসব এলাকার স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন যমুনা নদীর ভাঙনের কারণে পানির স্রোতের সাথে বালু মাটি এসে এসব এলাকার প্রায় ২ হাজার বিঘা নিচু এলাকার আবাদি জমিতে বালুর স্তর পড়ে জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
কৃষকরা বলেন, বালুর স্তর পড়া এসব জমিতে চলতি শুরু হওয়া মৌসুমে চরাঞ্চলের অর্থকরী ফসল চিনা বাদামের বীজ বপন করা যাবে না। বালুর স্তর পড়া জমিতে চিনা বাদামের বীজ বপন করলে তা হবে না। যার কারণে এসব এলাকার ২ হাজার বিঘা আবাদি জমি এবছর অনাবাদি থাকার আশংকায় চরাঞ্চলের চিনা বাদাম চাষিরা ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
অনেক কৃষক দুঃখ করে বলেন, গত বন্যা ও নদী ভাঙনে এসব এলাকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তার ওপর আবার জমিতে বালুর স্তর, এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা’র মতো অবস্থা তাদের।
আরএক্স/