তিস্তার ধূ-ধূ বালু চরে তরমুজ চাষ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৩


তিস্তার ধূ-ধূ বালু চরে তরমুজ চাষ
ধূ-ধূ বালু চরে তরমুজ চাষ

বদলে গেছে জলবায়ু। বদলে গেছে চাষ পদ্ধতি। বৈশ্বিক আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে বদলে গেছে তিস্তা নদী। লাগইস ও সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে ধূ ধূ চালু চরে জমিতে চাষ হচ্ছে রসালো মিষ্টি তরমুজ।


এবার লাল টকটকে ও মিষ্টি তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। সামনের রমজান মাসে তরমুজ ক্ষেত উঠা শুরু হবে। ন্যায্য মূল্য পাবে আশা কৃষকের। 


জানা যায়, নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর সাইফোন তিস্তা নদীর ধূ ধূ বালু চরের প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে তরমুজ। এখানের চরে হওয়া তরমুজের জাত ছিল উঁচ্চ ফলনশীল জাত। 


কার্তিক মাসে নদীর পানি শুকিয়ে যায়। তখন তিস্তা নদীতে বিশাল বিশাল ধূ ধূ বালু চর জেগে উঠে। এই সব চরে বালু মাটিতে সারিবদ্ধ ভাবে গর্ত খুঁড়তে হয়। তারপর সেই গর্তে অন্যত্র হতে মাটি, গোবর, পরিমিত পরিমান রাসায়নিক সার ও জৈব সার দিয়ে গর্ত পূরণ করতে হয়। এইভাবে গর্ত কয়েক দিন রেখে দেয়ার পর প্রতিটি গর্তে ৩/৪টি করে উঁচ্চ ফলোনশীল জাতের তরমুজের বীজ রোপন করতে হয়। 


রোপনকৃত বীজ থেকে চারার অংকুর বের হয়। সেই অংকুর কয়েক দিনের মধ্যে চারা গাছে পরিনিত হয়। ৩/৪ ইঞ্চি চারা গাছে পরিনিত হলে গর্তে দিতে হয় নিয়মিত পানি সেচ। তরমুজ ধীরে ধীরে ফসলের ক্ষেত থেকে উত্তোলন করা যায়। আবার উত্তোলিত তরমুজ কোন ফ্রিজাফ ছাড়াই এক মাস সংরক্ষণ করা যায়। তাই তরমুজ চাষ এ উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ধূ ধূ বালু চর গুলো পরিণিত হয়েছে ফসলের মাঠে। 


তিস্তা নদী থেকে ভারত সরকার একতরফা ভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। তাই শুস্ক মৌসুমে খরস্রোতা তিস্তা নদীতে পানি থাকেনা। তখন জেগে উঠে বিশাল বিশাল ধূ ধূ বালু চর। চাষিরা জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এসব ধূ ধূ বালু চরকে পরিনিত করেছে ফসলের মাঠে। বালু চর এখন আর অবহেলার পাত্র নয়। বালুতেও সোনা ফলানো যায়। তার প্রমান দিগন্ত জোরা সবুজ তরমুজের মাঠ। 


চাষি খোকন জানান, এবছর ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ করা হবে। অনুকূল আবহাওয়া থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলনের আশা করেন তিনি।