শ্রীনগরে ভুট্রা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৩


শ্রীনগরে ভুট্রা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের
ভুট্রা চাষ

শ্রীনগরে ভুট্রা চাষে স্থানীয় কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলার আটপাড়া, বীরতারা, তন্তর এলাকায় জমিতে ভুট্রার মোচা পরিপক্ক হচ্ছে। কিছুদিন পরেই কৃষক ভুট্রা ঘরে তুলবেন। গো-খাদ্য, মুরগিসহ বিভিন্ন পশুপাখির খাদ্য তৈরীতে দানাদার ভুট্রার নানা ব্যবহারে এ চাষে কদর বাড়ছে। 


প্রতি মণ দানাদার ভুট্রার বর্তমান বাজারদর ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এছাড়া সবুজ ঘাসের বিকল্প হিসেবে কাঁচা ভুট্রা গাছ থেকে তৈরী হচ্ছে স্যালাইস। ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা স্যালাইস বিক্রি করা হয় সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। স্যালাইস তৈরীর জন্য উপজেলার ভাগ্যকুল এলাকার পদ্মার চরে শতশত বিঘা জমিতে ভুট্রার ক্ষেতি করা হচ্ছে। সরকারি এসব জমিতে একটি সিন্ডিকেট গো-খাদ্য স্যালাইস বাণিজ্য করছে। 


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বীরতারা ও আটপাড়া এলাকায় বেশ কিছু জমিতে ভুট্রার চাষ হচ্ছে। এরই মধ্যে জমিতে ভুট্রার মোচা এসেছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী মাসে জমি থেকে এসব ভুট্রা তোলা হবে। কোন কোন জমিতে আলু উত্তোলনের পর কৃষক ভুট্রার আবাদ করছেন। অপরদিকে ভাগ্যকুল ও বাঘড়া ইউনিয়নের পদ্মার চরে ব্যাপক ভুট্রার চাষ হচ্ছে। জানা যায়, একটি সিন্ডিকেট চরে প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে ভুট্রার আবাদ করছেন। কাঁচা ভুট্রাগাছ থেকে স্যালাইস তৈরী করা হবে। বীজ বপনের ৭৫ দিনের মধ্যে ভুট্রার মোচা আসার আগেই জমি থেকে গাছ তোলা হবে। পরে মেশিনে এসব তাজা ভুট্রাগাছ ছোট ছোট আকারে কেটে স্যালাইস তৈরী করে প্যাকেটজাত করা হবে। 


স্থানীয়রা জানায়, গো-খাবার হিসেবে পরিচিত স্যালাইস জনপ্রিয় হওয়ায় একটি সিন্ডিকেট ভাগ্যকুল এলাকার বির্স্তীণ পদ্মার চরে শত শত বিঘা সরকারি জমিতে ভুট্রার ক্ষেতি করা হচ্ছে। অথচ স্থানীয় ভূমি অফিস এ বিষয়ে অবগত নয়। সূত্রটি আরো জানায়, চরের জমিতে সরকারি রাজস্বকর ফাঁকি দিয়ে ভুট্রা চাষে একটি সিন্ডিকেট স্যালাইস বিক্রি করে কোটি টাকা বাণিজ্য করছে। 


পদ্মার চরে এসব ভুট্রা চাষের বিষয়ে ভাগ্যকুল ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান সুনিদিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, শুনেছি চরের সীমানা সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে আদালতে মুন্সীগঞ্জের পক্ষে রায় দিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কাছে এখনও কোন নিদের্শনা আসেনি। উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করে দেওয়া হয়। 


সেই অনুসারে আমরা যাবতীয় কাজ করি। এ বছর উপজেলার ৬০০ কৃষককে ভুট্রার বীজ, সার দেওয়া হয়েছে। দিনদিন ভুট্রা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রার চাষ করা হচ্ছে। জানতে পেরেছি পদ্মার চরে ভুট্রার ক্ষেতি করা হয় স্যালাইস তৈরীর জন্য। এসব ক্ষেতের ভুট্রাগাছ জেলার লৌহজংয়ে স্যালাইস কারখানায় যায়।


আরএক্স/