ক্রিকেটকে ছাড়ার সময় জানালেন সাকিব


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ক্রিকেটকে ছাড়ার সময় জানালেন সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক: শুধু যাত্রী হিসেবে কোনো যাত্রায় থাকতে চান না বিশ্বসেরা  অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শুধু তাই নয়, অধিনায়কত্বকেও বাড়তি বোঝা মনে করছেন তিনি। তাই নেতৃত্বের বিষয়টি মাথায় রাখতে চান না। ক্রিকেট পরিচালক বা তার চেয়ে বড় কিছুর লক্ষ্য সাকিবের সামনে। যে ক্রিকেট জ্ঞান আছে তাঁর, বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত তা কারো হয়নি বলেও মনে করেন তিনি।

টেস্ট নিয়ে সাকিবের নতুন ভাবনা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। অবধারিত প্রশ্ন আসে, দেশের ক্রিকেটে কী তাঁর দেওয়ার সময়টা শেষ হয়ে যাচ্ছে? গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। অভিজ্ঞতা যা হয়েছে সেখান থেকে তো বাংলাদেশ আরও আশা করতে পারে তাঁর কাছ থেকে।

এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘যেদিন আমার কাছে মনে হবে আমি গাড়ির ড্রাইভার না যাত্রী, সেদিন আমি ছেড়ে দেব খেলা। বুঝতে পারলেন কথাটার মানে? আমার ওপর ভরসা করে কেউ সিটে বসে না থাকলে, সেদিন আমি খেলব না।’  

একটু দ্রুতই নেতৃত্ব পাওয়ার পর সেটা গেছে নানা জটিলতায়। পরে টেস্ট ও টি টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক হয়েছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্দর মহলে কথা উঠেছে টেস্টে তাঁর কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। টেস্ট থেকে বিরতি নিলে তো সেটা হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসলে সিদ্ধান্ত যে কী হতে পারে তা বলা কঠিন। টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে এখন আর আমার কোনো চিন্তা নেই। ঐ চ্যালেঞ্জ গুলো নিতে ইচ্ছে করে না। আগে যেটা হয়তো করত। চার বা পাঁচ বছর আগে চ্যালেঞ্জ গুলো নেওয়ার মতো মানসিক দৃঢ়তা ছিল। এখন মনে হয় না নিলেই তো ভালো। একটা সময় তো আমি ছিলাম, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক।’       

ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন সাকিব। সম্প্রতি হয়েছেন একটি ব্যাংকের পরিচালকও। ক্রিকেট পরবর্তী জীবনের রূপরেখা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে হয়তো আমি একটা সাকিব আল হাসান হয়েছি। সংগঠক হিসেবে আমি দশজন সাকিব তৈরি করতেও পারি। আমার অপশন গুলো অনেক বেশি। মাঠের বাইরে থেকে সংগঠক হিসেবে, পরামর্শক হিসেবে, আমার অনেক জায়গায় অবদান রাখার সুযোগ আছে। যে নলেজটা আমার আছে, এখন পর্যন্ত কারো হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটে। খেলা ঠিক রেখে আমি যদি অন্য কিছু করতে পারি, তা ভালো হয়। আমার যদি সুযোগ থাকে পাঁচ হাজার বা দশ হাজার পরিবারের কর্মক্ষেত্র তৈরি করার, আমি কেন সেটা করব না। আমি যদি সেটা করে যেতে পারি, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ মানুষ তা মনে রাখবে। ক্রিকেট এক সময় ভুলেই যাবে। এটা খুবই স্বাভাবিক।’