একনজরে দেখে নিন আইপিএলে কে কোন দলে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


একনজরে দেখে নিন আইপিএলে কে কোন দলে

গত শনি ও রোববার দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আইপিএল-২০২২ এর মেগা নিলাম। সেইসঙ্গে তৈরি হয়ে গেল আসন্ন আইপিএল-এর দশটি দল। নিলামে কারা কতটা গুছিয়ে নিতে পারল, কী পারল না, কেমন হতে পারে দলগুলোর প্রথম একাদশ- এসব নিয়েই পাঠকদের জন্য আজকের এই আয়োজন।

চেন্নাই সুপার কিংস: মোটামুটি আগের দলটিই ধরে রাখতে পেরেছে গতবারসহ মোট চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। দীপক চাহার, ডোয়াইন ব্র্যাভো, আম্বাতি রায়ডু, রবিন উথাপ্পাকে নিয়েছে এবার। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, মহেন্দ্র সিং ধোনি, মঈন আলী এবং রবীন্দ্র জাদেজাকেও রেখে দিয়েছে। 

প্রোটিয়া ব্যাটার ফ্যাফ ডু প্লেসিসের বদলি হিসেবে নিয়েছে কিউয়ি তারকা ডেভন কনওয়েকে। এছাড়া শার্দূল ঠাকুরের জায়গায় শিবম দুবে এবং জস হ্যাজলউডের জায়গায় নেয়া অ্যাডাম মিলনে কাজ চালিয়ে দিতে পারবেন। তবে দলটি পায়নি ভাল একজন বিদেশি ওপেনার। 

সম্ভাব্য একাদশ: রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ডেভন কনওয়ে, মঈন আলী, আম্বাতি রায়ডু, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, শিবম দুবে, ডোয়াইন ব্র্যাভো, দীপক চাহার, অ্যাডাম মিলনে, তুষার দেশপাণ্ডে।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: প্রথম দিন ঈশান কিশানকে ১৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে তুলে নিয়েও নিলামের দ্বিতীয় দিনে পকেটে সব থেকে বেশি টাকা নিয়েই নামে মুম্বাই। ফলে জোফ্রা আর্চার, টিম ডেভিড, ড্যানিয়েল সামস, টিমাল মিলসকে দলে নিতে অসুবিধে হয়নি দলটির। 

যদিও দলটিতে টিম ডেভিড, ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের মতো ক্রিকেটার আছেন ঠিকই। কিন্তু কুইন্টন ডি’কক, হার্দিক ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার অভাব বোধ করবে মুম্বাই। গত চার বছরে এই তিন জনই মুম্বাইকে অসংখ্য ম্যাচ জিতিয়েছেন। ভাল একজন দেশি স্পিনারও নেই দলটিতে। 

সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, ঈশান কিশান, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, টিম ডেভিড, কায়রন পোলার্ড, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, জয়দেব উনাদকাট, টিমাল মিলস, মায়াঙ্ক মারকাণ্ডে, জাসপ্রীত বুমরাহ।

পাঞ্জাব কিংস: প্রীতি জিনতার দলে রয়েছে দুর্দান্ত ব্যাটিং গভীরতা। লোকেশ রাহুল না থাকলেও দলটি এবার পেয়েছে শিখর ধাওয়ান, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, জনি বেয়ারস্টো ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে। এরপরই রয়েছেন শাহরুখ খান, ওডিন স্মিথ, হরমানপ্রীত ব্রার। দলে রয়েছে দারুণ ভারসাম্য। যদিও মিডল অর্ডারে নেই কোনও ভারতীয় ব্যাটার। 

সম্ভাব্য একাদশ: শিখর ধাওয়ান, জনি বেয়ারস্টো, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, লিয়াম লিভিংস্টোন, শাহরুখ খান, ঋষি ধাওয়ান, হরমানপ্রীত ব্রার, ওডিন স্মিথ, কাগিসো রাবাদা, অর্শদীপ সিং, রাহুল চাহার।

রাজস্থান রয়্যালস: সাঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার, যশস্বী জ্যাসওয়ালকে রেখে দিতে পেরেছে রাজস্থান। এছাড়াও এবার দলটি গড়েছে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, ট্রেন্ট বোল্ট, প্রসিধ কৃষ্ণকে নিয়ে দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ। 

তবে দেবদূত পাড়িক্কাল এবং যশস্বী জ্যাসওয়ালের ওপেনিং জুটিটা অনেকটাই অনভিজ্ঞ। দু’জনেই বাঁহাতি। বাটলার ওপেন করলে একজনকে পরে নামানো হতে পারে। দলের ভারসাম্য নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। 

অন্যদিকে, ন্যাথান কুল্টার-নাইলকে খেলালে একজন ব্যাটার কম পড়বে। জিমি নিশামকে খেলালে বোলিংয়ে শেষের ওভারে সমস্যায় পড়তে পারে দলটি।

সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জ্যাসওয়াল, দেবদূত পাড়িক্কাল, সাঞ্জু স্যামসন, জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ার, জিমি নিশাম, রিয়ান পরাগ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট, যুজবেন্দ্র চাহাল, প্রসিধ কৃষ্ণ।

দিল্লি ক্যাপিটালস: এবারে ডেভিড ওয়ার্নারকে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম চার জন আইপিএল-এর অন্যতম সেরা। বোলিংয়েও বৈচিত্র আছে। তবে পায়নি শিখর ধাওয়ান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাগিসো রাবাদার মতো ক্রিকেটারকে। ফলে আগের সেই দল ধরে রাখতে পারেনি দিল্লি। 

এছাড়া আরও একজন বিদেশি ফাস্ট বোলার দরকার ছিল দিল্লির। অ্যানরিখ নরকিয়া এখনও চোট সারিয়ে উঠতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই খেলেননি প্রোটিয়া এই পেসার। 

সম্ভাব্য একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, পৃথ্বী শ, মিচেল মার্শ, ঋষভ প্যান্ট, মানদীপ সিং, রোভমান পাওয়েল, অক্সার প্যাটেল, শার্দূল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব, অ্যানরিখ নরকিয়া, চেতন সাকারিয়া।

কলকাতা নাইট রাইডার্স: নিলামের প্রথম দিনে নীতিশ রানা, প্যাট কামিন্স, শিভম মাভিকে তুলে নিয়ে গতবারের মূল দলই ধরে রেখেছে কলকাতা। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে শ্রেয়াস আইয়ারকে দলে নিয়েছে সাড়ে ১২ কোটিতে। আর দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় দলে নিয়েছে অ্যালেক্স হেলস, স্যাম বিলিংস, টিম সাউদি ও উমেশ যাদবকে।

তবে এবার আর দলে নেয়নি সাকিবের মত অলরাউন্ডারকে। এছাড়া হেলসকে সব ম্যাচে খেলানো সম্ভব না হলে ওপেন কে করবেন, তা ঠিক নেই। আজিঙ্কা রাহানেকে ওপেন করতে পাঠালে পাওয়ার প্লে-র সুবিধা ওঠানো নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। 

সম্ভাব্য একাদশ: ভেঙ্কটেশ আইয়ার, আজিঙ্কা রাহানে, শ্রেয়াস আইয়ার, নীতিশ রানা, স্যাম বিলিংস, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, প্যাট কামিন্স, শিভম মাভি, উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী।

লখনউ সুপার জায়ান্টস: নিলামে দেখে মনে হয়েছে, সব থেকে বেশি তৈরি হয়ে এসেছিল জায়ান্টরাই। ছয় জন অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছে তারা। প্রথম একাদশে যথেষ্ট ভারসাম্য। তবে পায়নি একজন অভিজ্ঞ স্পিনার। 

সম্ভাব্য একাদশ: লোকেশ রাহুল, কুইন্টন ডি’কক, মনীশ পাণ্ডে, মার্কাস স্টয়নিস, দীপক হুদা, ক্রুণাল পাণ্ডিয়া, জেসন হোল্ডার, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, মার্ক উড, রবি বিষ্ণোই, আবেশ খান।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: এবার বোলিং বিভাগটা বেশ শক্তিশালীই করেছে ব্যাঙ্গালোর। হার্ষাল প্যাটেল, জস হ্যাজলউড, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা থাকবেন প্রথম একাদশে। জেসন বেহেরেনডর্ফ এবং ডেভিড উইলিকে কিছু ম্যাচে খেলানো হতে পারে। বিরাট কোহলি থাকলেও অধিনায়ক করা হতে পারে ফ্যাফ ডু প্লেসিসকেই। ব্যাটিংয়ে গভীরতা আছে কারণ, বেশ কয়েকজন বোলার ব্যাট করতে পারেন। 

তবে ভাল মিডল অর্ডার পায়নি ব্যাঙ্গালোর। অনুজ রাওয়াত, মহিপাল লোমরোর, লবনিথ সিসোদিয়া-রা অপরিণত। ফলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, দীনেশ কার্তিকের ওপরই থাকবে বাড়তি দায়িত্ব। 

সম্ভাব্য একাদশ: ফ্যাফ ডু প্লেসিস, বিরাট কোহলি, অনুজ রাওয়াত, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, দীনেশ কার্তিক, মহিপাল লোমরোর, শাহবাজ আহমেদ, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, হার্ষাল প্যাটেল, জস হ্যাজলউড, মোহাম্মদ সিরাজ।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: বোলিংয়ে আগের দলের মোটামুটি সবাই রয়েছেন হায়দরাবাদের এবারের দলে। ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক, টি নটরাজন এবারও খেলবেন দলটির হয়ে। এছাড়াও দলে নিয়েছে শন অ্যাবট, কার্তিক ত্যাগীকে। অলরাউন্ডার হিসেবে পেয়েছে মার্কো জানসেন, রোমারিও শেফার্ডকে। 

তবে দলটির ব্যাটিংয়ে নেই বড় কোনও নাম। কেন উইলিয়ামসন কনুই নিয়ে এখনও ভুগছেন। একটি ম্যাচেও যদি খেলতে না পারেন, হায়দরাবাদকে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। এছাড়া দলে নেই দেশি-বিদেশি ভাল কোনও স্পিনারও। 

সম্ভাব্য একাদশ: এইডেন মার্করাম, রাহুল ত্রিপাঠি, কেন উইলিয়ামসন, নিকোলাস পুরান, অভিষেক শর্মা, আব্দুল সামাদ, ওয়াশিংটন সুন্দর, রোমারিও শেফার্ড, ভুবনেশ্বর কুমার, উমরান মালিক, টি নটরাজন।

গুজরাট টাইটানস: নিলামে না হলেও অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে পাওয়া গুজরাটের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এছাড়া জেসন রয়কেও পেয়েছে ন্যূনতম দরে। লকি ফার্গুসনের পিছনে অনেক টাকা গেলেও কিউয়ি পেসার প্রমাণ করেছেন, শুরুতে বিপক্ষকে ঝটকা দিতে পারেন তিনি। 

তবে দলটিতে অভ