জামালপুর কারাগারে দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১৮ অপরাহ্ন, ২৬শে মে ২০২৩


জামালপুর কারাগারে দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ
জামালপুর জেলা কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর জেলা কারাগারের পুরাতন স্থাপনা অপসারণের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের সাথে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সরাসরি জড়িত বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 


অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে দরপত্রে অংশ নেওয়া তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। লিখিত অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মেসার্স অর্ণব এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ফেরদৌস এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স সোলায়মান ভাঙ্গারী।


তাদের অভিযোগ, জামালপুর জেলা কারাগারের ৩৯টি পুরাতন স্থাপনা ভেঙে নেওয়ার দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত। গত (২৪ মে) জামালপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল। এইদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র নির্ধারিত বাক্সে দাখিলের সময় নির্ধারণ ছিল। একইদিন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে উপস্থিত সকল ঠিকাদারের সামনে দরপত্রের বাক্স উন্মুক্ত করার কথা থাকলেও দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করা হয় দুপুর ১ টায়।


আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ীতে মাংস ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা 


এর আগে ঠিকাদারদের দ্বিতীয়তলায় নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারদের ভেতরে ডাকা হলে তারা দরপত্র বাক্স সিলগালা বিহীন দেখতে পান। দরপত্র বাক্স সিলগালা বিহীন থাকার বিষয় রহস্যজনক বলে মনে করেন দরপত্রে অংশ নেওয়া ঠিকাদাররা।


দরপত্রের শর্তাদি সম্পর্কে উপস্থিত ঠিকাদাররা জানতে চাইলেও নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের বলেন, শর্তাদি তেমন কোন বিষয় না এবং সে এও প্রকাশ করে যে সর্বোচ্চ দরদাতা বাংলাদেশের নাগরিক হলেই চলবে, অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই। 


অভিযোগকারী ঠিকাদাররা মনে করেন নির্বাহী প্রকৌশলী তার পূর্ব পরিকল্পিত পছন্দনীয় দরদাতাকে কাজটি পাইয়ে দেওয়ার স্বার্থে অনিয়ম করেছেন। যার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে টেন্ডার বাক্সটি উন্মুক্ত না করে ঠিকাদারদের বের করে দিয়ে ৩০ মিনিট সময় কালক্ষেপন করে সিলগালা বিহীন অবস্থায় উন্মুক্ত করেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও দরপত্রের শর্তাবলির চরম লঙ্ঘন। গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলীর অনিয়মের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি অভিযোগকারীদের।


আরও পড়ুন: সরিষাবাড়ীর ইউএনওকে অপসারণ দাবি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ


এ ব্যাপারে জামালপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অন্যায়ভাবে কোন কিছু করা হয়নি, ন্যায্যভাবেই দরপত্র গ্রহণ ও খোলা হয়েছে।


এদিকে সিলগালা বিহীন দরপত্র বাক্স খোলা ও সময় ক্ষেপনের অভিযোগ পাবার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জামালপুর জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার এমাদুল হোসেন বিষয়টি বৃহস্পতিবার  লিখিত ভাবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছেন।


জেবি/ আরএইচ/