মাগুরায় শিলা বৃষ্টিতে পাট চাষীদের সর্বনাশ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:১৪ অপরাহ্ন, ২৭শে মে ২০২৩


মাগুরায় শিলা বৃষ্টিতে পাট চাষীদের সর্বনাশ
বৃষ্টিতে পাটের সর্বনাশ

মাগুরায় বছরের প্রথম শিলা বৃষ্টিতে পাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় কি পরিমাণ শিল পড়েছে সেটি বুঝা না গেলেও সকালে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে কৃষক ও এলাকাবাসীর। বিস্তৃর্ণ মাঠের পুরোটায় পাট চাষ। ঘন্টাব্যাপী শিলাবৃষ্টিতে মুহূর্তেই সেই পাটের মাথা ভেঙে পড়েছে। পুরো মাঠ জুড়ে পাট গাছের মাথা নেই বললেই চলে।


সরেজমিনে দেখা যায় শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের করুন্দী, চর উদাস, বালিয়াঘাটা, ছোট উদাস এর মধ্যবর্তী মাগরোর বিলের সমস্ত পাট নষ্ট হয়ে গেছে। এই বিলের চাষকৃত ৯০% পাটের মাথা নাই। এই পাটকে ইতিমধ্যেই অকার্যকর বলে ঘোষণা করেছেন কৃষকেরা। এতে চোখে মুখে হতাশার চাপ লেপ্টে বসেছে। আশংকা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা পাট নষ্ট হয়ে গেছে।


কৃষক মো. মিন্টু হোসেন জানান, তার চাষকৃত জমির পরিমাণ ৩ একর। বিগত বছরের চেয়ে পাটের ফলন বেশি ছিলো। ৭০০-১০০০ পর্যন্ত মুজুরি দিয়ে শ্রমিক নিয়ে পাটের পরিচর্যা শেষ করেছি। বাকি ছিলো শুধু পাট কেটে ঘরে তোলা। এর আগেই সব পাট নষ্ট হয়ে গেলো। এখন পথে বসা ছাড়া পায় নেই।


আরেক কৃষক শুকুর মোল্লা ও মোঃ আনোয়র মল্লিক জানান, পেঁয়াজের সময় এবছরে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখ হয়েছি। তবে পাটের ফলন ভালো দেখে মনে হচ্ছিলো কিছুটা হলেও এখান থেকে বেনিফিট পাবো। কিন্তু এভাবে পাট নষ্ট হবে ভাবতেই পারছিনা। বর্তমান সকল দ্রব্যের দাম উর্ধমূখি সেখানে এত বড় ক্ষতি কাটিয়ে উঠার কোন রাস্তা খুজে পাচ্ছিনা। সংসারের খরচ মেটানোই এখন বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাড়িয়েছে।


আমলসার ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানান, রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তবে সকালে কৃষকরা আমাকে জানালে আমি মাঠ পরিদর্শনে এসে খুবই মর্মাহত হয়েছি। গরিব কৃষকের আহাজারি মাঠ জুড়ে। বিষয়টি কৃষি অধিদপ্তর ও প্রশাসন যদি নজরে এনে এই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগুলোর পাশে দাড়ায় তাহলে অন্তত এই কৃষকরা বেচে থাকতে পারবে৷


এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও তিনি প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে থাকায় মাঠ পরিদর্শনে আসেননি। সকালে মাঠ পরিদর্শন আসেন কৃষি অফিসের দুই কর্মকর্তা।


আরএক্স/