পাহাড়ের মাটিতে আঙুর চাষে সফলতার হাসি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:০১ অপরাহ্ন, ২৮শে মে ২০২৩


পাহাড়ের মাটিতে আঙুর চাষে সফলতার হাসি
পাহাড়ের মাটিতে আঙুর চাষ

রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ১নং টিলা গ্রামে আঙুর ফলে চাষ করতে দেখা গেছে মো: ছগির হোসেনকে(৪০)। প্রতিদিন মানুষ আঙুর ফলের গাছ দেখতে ভিড় করছেন তার বাড়ির আঙিনায় ।


প্রথমবার ফলন ধরেছে আঙুর গাছে। জানাগেছে প্রথম ধাপে কম ফলন হলেও পরে গাছ থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ কেজির বেশি আঙুর পাবেন বলে আশাবাদী তিনি।


আরোও পড়ুন: নীলফামারীতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে চমক


একই  গ্রামের মো: হারুন ১০ শতাংশ জমির ওপর এ দৃষ্টিনন্দন আঙুর বাগান গড়ে তুলবেন বলে ভাবছেন। 


এর আগে বুড়িঘাটে পাহাড় জমিতে বেশ কয়েকটিবার আঙুর চাষ হলেও তা সুস্বাদু ছিল না। তবে ছগির হোসেন  এবারই প্রথম এ চাষে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন। জমিতে গাছ রোপণের মাত্র ২-৩ মাসে ফল আসতে শুরু করেছে।


স্বাদের দিক থেকে কিছু আঙুর প্রচণ্ড টক আবার কিছু আঙুর মিষ্টি। ছগির হোসেন এর মিষ্টি আঙুর চাষ করে প্রমাণ করলেন পাহাড়ের এ মাটিতে মিষ্টি ও সুস্বাদু আঙুর উৎপাদন সম্ভব। স্থানীয়রা বাণিজ্যিকভাবে এ আঙুর চাষ করলে এটি জনপ্রিয় হবে। সেইসঙ্গে আঙুর চাষ লাভজনক বাণিজ্যে রূপ নেবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে। তার দেখাদেখি এখন  অনেকে আঙুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।


মো: ছগির হোসেন বলেন,পাহাড়ি মাটিতে মিষ্টি আঙুর চাষ হচ্ছে। তাই আগ্রহী হয়ে ২০২২ সালের শেষদিকে জমির পরিচর্যা ও প্রস্তুতি নিই। চলতি বছরের স্থানীয় নার্সারি থেকে জাত সংগ্রহ করে কয়েকটি  চারা রোপণ পরিচর্যা শুরু করি। জমিতে শুধু পানি ও জৈব সার ব্যবহার করেছি। রোপণের তিন মাসেই গাছে ফুল আসে। পাহাড়ের মাটি আঙুর চাষের উপযুক্ত । এতে খরচ তেমন হবে না।


তিনি বলেন, এ আঙুর বাজারজাত করার মতো পরিপক্ক হলে অবশ্যই মিষ্টি সুস্বাদু হবে। মিষ্টি আঙুর ফলের গাছ  বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের পরিকল্পনা চলছে। স্থানীয়ভাবে আঙুর চাষ হলে ফরমালিনমুক্ত ও কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি ছাড়া মানসম্মত ফল পাওয়া যাবে। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হলে আর্থিক লাভবান হওয়া যাবে। পাশাপাশি বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ সুগম হবে।


নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবিব  বলেন, ‘আমি  আঙুর চাষের খবরটি শুনেছি। পাহাড়ের মাটি আঙুর চাষের জন‍্য উপযুক্ত। এখন আঙুর চাষে আধুনিক  প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাদ বাড়ানো যায় কি না চেষ্টা করতে হবে। এ বিষয়ে কৃষক ছগিরকে সব সময় কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হবে।


আরএক্স/