দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজানের ১৪ বছর কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৭ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার আইনে করা মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এই মামলায় অপর তিন আসামি ডিআইজি মিজানের ছোট ভাই, ভাগ্নে ও স্ত্রীকে এছাড়া সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় ৩ বছর, ২৭(১) ধারায় ৬ বছর এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচ বছর ও অন্য আরেক ধারায় ৩বছর সর্বমোট ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে মিজানুর রহমানকে। সবগুলো সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ছয় বছর সাজা ভোগ করতে হবে।
অপরদিকে বাকি তিনজনকে ২৭(১) ধারায় ৩ বছর ও মানিলন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তাদেরও চার বছর সাজা ভোগ করতে হবে। এছাড়া ডিআইজি মিনজানকে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: চাকরি হারালেন ডিআইজি মিজান
এর আগে গত ৬ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর রায়ের জন্য আদালত এই দিন ধার্য করেন।
এই মামলায় চারজন আসামির মধ্যে ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজান কারাগারে আটক আছেন। অপরদিকে তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান জামিনে মুক্ত ছিলেন তাদেরকেও সাজা পরোয়া দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলায় অপর আসামি ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেল রানার ওরুফে রত্নার পলাতক রয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচারকার্য শুরু করেন। এবছর ১২ এপ্রিল মোট ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন আদালত।
এরপর ১৪ই মে আসামি মিজানুর রহমান মিজান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান আদালতের কাছে।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।