বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৭ অপরাহ্ন, ২৩শে জুন ২০২৩
পদ্মা, মেঘনা ও যমুনাসহ দেশের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি এখন বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি। উজানের ঢলে উত্তরের বেশ কয়েকটি নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে প্লাবিত এলাকার পরিসর বাড়ছে।
তবে পানি বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, বাংলাদেশে দুই দফা বন্যা হয়। প্রথম দফা মে মাস থেকে জুলাইয়ের মধ্যে। আর দ্বিতীয় দফা আগস্ট-সেপ্টেম্বরে। এবার প্রথম দফায় ‘বড় বন্যার’ আশঙ্কা কম।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলেই যে বন্য হবে বিষয়টি এমন নয়। বৃষ্টি না হলেও বন্যা হতে পারে। দেখতে হবে আমাদের নদ-নদীর ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পানি বেশি আসছে কিনা? এগুলো যখন উপচে পড়বে তখনই বন্যা হবে। প্রথম দফায় বড় বন্যার আশঙ্কা একটু কম। কারণটা হচ্ছে, মে মাসে আমাদের এখানে কোন বৃষ্টি হয়নি। ফলে হাওরসহ নদ-নদীতে পানি ছিল না। যে পানি আসছে সেটা এখনও উপচে পড়ার মতো হয়নি।
আরও পড়ুন: কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার আশঙ্কা
তিনি আরও বলেন, আমাদের নদীর চ্যানেলগুলোতে পানি চলাচলের ক্ষমতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে। পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে, অনেক জায়গায় চর পড়েছে, হাওর অনেক জায়গায় ভরে ফেলা হয়েছে, পূর্ব-পশ্চিমে রাস্তা হয়েছে, এগুলোর ফলে আগে পানি দ্রুত নেমে যেতে পারলেও এখন পানি নেমে যেতে বেশি সময় লাগে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তীব্র স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে তেলিয়ানীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে দুধকুমারের পানি লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। একসময় স্রোতের তীব্রতায় ভেঙে যায় প্রায় ২৫০ মিটার বাঁধ। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। প্লাবিত করেছে বামনডাঙ্গার তেলিয়ানী, মালিয়ানীসহ প্রায় ১০টি গ্রাম।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বুধবার রাতে দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল, কিন্তু সকালে আবার কিছুটা নেমে গেছে। এখানে যে ৫টি নদ-নদী রয়েছে, তার সবগুলোতেই পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি আছে।
জেবি/ আরএইচ/