সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু, গ্রেফতার চিকিৎসকদের মুক্তির দাবি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১৮ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৩


সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু, গ্রেফতার চিকিৎসকদের মুক্তির দাবি
ছবি: জনবাণী

সারাদেশে চিকিৎসক নিগ্রহ বন্ধ ও রাজধানী ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার ডা. মিলি, ডা. মুনা ও ডা. শাহজাদীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে অবস্টেট্রিক্যাল গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। 


রবিবার (৯ জুলাই) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এতে রংপুরে কর্মরত সকল ধরনের গাইনোলোজি চিকিৎসকরা অংশ নেন।


গ্রেফতার চিকিৎসকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বক্তারা জানান, আমরা ২৪ ঘন্টাই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। সেবা দিতে গিয়ে এক্সিডেন্ট হতে পারে। যদি চিকিৎসকের অবহেলা থাকে আইনানুযায়ী তদন্ত করে তার বিচার হবে। কিন্তু তদন্ত ছাড়া চিকিৎসদের গ্রেফতারের কোনো যুক্তি নেই। 


বক্তারা আরও বলেন, আমরা এখন ডেলিভারি করাতে ভয়ে থাকি। কারণ যদি এক্সিডেন্টে কিছু হয়, তাহলে তো জেল খাটতে হবে। ভয় নিয়ে তো চিকিৎসা হয় না। তাই আমরা এর একটা সুরাহা চাই। গ্রেফতারদের মুক্তি দিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে যে প্রকৃত দোষী তাকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।


আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ


মানববন্ধনে অংশ নেয়া ওজিএসবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. শাহী ফারজানা তাসনিম বলেন, গাইনোকোলজি চিকিৎসকেরা ২৪ ঘন্টা সেবা দেয়। তারা সেখানে গিয়েছিল রোগীকে বাঁচাতে মার্ডার করতে নয়। তারপরও সেখানে যেহেতু মা-সন্তান দুজনই মারা গেছেন, আমরা এঘটনায় সমবেদনা জানাই। পাশাপাশি বলতে চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আইনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে, তবে তদন্ত ছাড়া গ্রেপ্তার করাটা দুঃখজনক। তৃতীয় একজন ব্যক্তি তাদের জীবন বাঁচাতে এসেছিলেন তাকেও নিম্ন আদালতে হাজির হতে বলেছে। আমরা দাবি করছি, তাদের জামিন দিক এবং তারপর তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা গ্রহণ হয় সেটিই নেয়া হয়। সেখানে আমরা কোনো দ্বিমত পোষণ করব না। 


মানববন্ধন সমাবেশে অংশ নেয়, রমেক হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. আজিজুল হক, গাইনোলোজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. শারমিন সুলতানা লাকী, অবস্টেট্রিক্যাল গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) রংপুর শাখার সহ-সভাপতি প্রফেসর ডা. আনিসা বেগম প্রমুখ।


জেবি/ আরএইচ/