অপরাধবোধ থেকে বিএনপি নির্বাচনে আসতে সাহস পায় না: শেখ পরশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে
শামস্ পরশ বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আমি এই প্রক্রিয়াকে
স্বাগত জানাই এবং নতুন নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বিএনপি-জামাত নির্বাচন
নিয়ে তালবাহানা করছে, কারণ তাদের নিজস্ব অপরাধবোধ থেকে তারা নির্বাচনে আসতে সাহস পাচ্ছে
না।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শহীদ
(ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ইটালি ও জাপান শাখা যুবলীগের
সহযোগিতায় অসহায় ও দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরশ বলেন, সাহস পাবেই বা কিভাবে,
তারাতো অপরাধী এবং দোষী। তাদের প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে
সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ভারপ্রাপ্ত নেতা তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্রপাচার মামলায় এবং একুশে
আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা এবং
দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস
করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই যে অগ্নি
সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়।
২০১৪ সালের সেই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকালে অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনো
মানুষের মনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে;
মানুষ তাদের বিশ্বস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। কারণ তারা জানে যে এই
অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনদিনও ভোট দেবে না। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে
যেতে ভয় পায়। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা মানি-লন্ডারিং করে বিদেশে পাচার করেছে তারেক
জিয়া ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ। চিন্তা করেনতো তারেক জিয়াতো প্রায় ১৩ বছর বিদেশে, কি তাঁর
পেশা বা আয়ের উৎস? কিভাবে তারা এত বিলাসবহুল জীবন যাপন করে? ক্যাসিনোতেও যায় সে কিভাবে?
নিশ্চয়ই সরকারি ভাতা দিয়ে তো আর জুয়া খেলা যায় না। তাহলে কি তার যোগ্যতা? কি তাঁর আয়ের
উৎস? মানি-লন্ডারিং এর অবৈধ টাকা দিয়ে বিদেশে লবিস্ট এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের
বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে বিএনপি। এসব প্রশ্নতো মানুষের মনে জাগে তাই তারা নির্বাচনে আসতে
ভীত। আসলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতি হল বিএনপির পরিচয়। তাদেরকে এদেশের শান্তিপ্রিয়
মানুষ কেন ভোট দিবে? আমিতো কোন কারণ দেখি না। তাদের নেতা কে? তিনি কোথায়? ভোট পেলে
আগামীতে প্রধানমন্ত্রী কে হবে? এই সকল প্রশ্নতো বিএনপি জনগণকে পরিস্কার করে না কখনো।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরাতো আর নির্বাচন করতে পারবে না! তাহলে কাকে সামনে নিয়ে নির্বাচনে
যাবে বিএনপি?
তিনি আরও বলেন, তারা ভালভাবে
জানে তাদের কোন নেতা নাই। নেতা ছাড়া কোন রাজনীতিও হয় না, নির্বাচনে যেতে চায় না নানা
অজুহাতে। তারা এখন অজুহাতের নতুন রাজনৈতিক কৌশল বেছে নিয়েছে। ক্ষমতা দখলকারী, জিয়াউর
রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘণ করে। হাজার হাজার সেনাবাহিনী
এবং বিমানবাহিনী অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী
জিয় এবং খালেদা জিয়া যতবার ক্ষমতা দখল করেছে ততবার নির্বাচনে কারচুপি, ভুয়া ভোটার লিস্ট
ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে জনগণের ভোট কেড়ে নিয়েছে। কোনদিন শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা
হস্তান্তর করে নাই বিএনপি, এটাই তাদের চরিত্র। আসলে যখনই এদেশের মানুষের জীবনে উন্নতি
হয়েছে অথবা আরও অধিকতর উন্নতির সুযোগ হয়েছে, তখনই এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে সাধারণ
মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে বিএনপি-জামাত। এবার তাদেরকে আর সেই সুযোগ দেয়া হবে
না।
ওআ/