চোখের সেবায় আলো ছড়াচ্ছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট
🕐 প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবি: বসুন্ধরা মিডিয়া সেল
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আমড়াতলীর আছিয়া বেগম একজন কৃষিশ্রমিক। অন্যের জমিতে দিনমজুরির কাজ করেন তিনি। বয়স ৪৪ ছুঁই ছুঁই। বছর দুয়েক আগে বাম চোখে আবছা দেখতে শুরু করেন। কিছুদিন পরে দেখা যায়, ছানির হলুদাভ থাবা ঘিরে নিচ্ছে পুরো চোখ। কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করতে পারছিলেন না।
তার স্বামী ইয়াকুব আলী বলেন, ‘কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিচ্ছিলাম আমার স্ত্রীর অপারেশনের জন্য। কিন্তু টাকার অঙ্ক শুনে আমরা পিছিয়ে আসতাম। গত মাসে আমড়াতলী চেরাগ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে ফ্রি চক্ষুসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে আছিয়াকে দেখালে তারা জানান, ছানি অপারেশন করতে হবে। গত সপ্তাহে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট আছিয়াকে বিনামূল্যে অপারেশন করে দিয়েছে। তারা এগিয়ে না এলে আমার স্ত্রীর চোখের আলো হয়তো নিভে যেত। এই উপকারের বিনিময়ে দোয়া ছাড়া আমাদের আর দেওয়ার মতো কিছু নেই।’
শুধু আছিয়া নন, গত ১০ বছরে ছানি; নেত্রনালিসহ চোখের বিভিন্ন সমস্যায় বিনামূল্যে ২ হাজার ৬৯০ জনের অপারেশন করেছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে এই হাসপাতালের অবস্থান। দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৪৯টি আই ক্যাম্পে সেবা দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বিনামূল্যে সেবা পেয়েছে হাসপাতাল থেকে।
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ভিশন আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদ। হাসপাতাল তৈরির স্বপ্নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের চোখে সমস্যা ছিল। কিন্তু ভাল্বে সমস্যা থাকায় চিকিৎসকরা চোখের অপারেশনের ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না। এক সময় মায়ের চোখের আলো নিভে যায়। আমি তখন মেডিকেল চতুর্থ বর্ষে পড়ি। তখন থেকেই স্বপ্ন একটা হাসপাতাল করার, যেন চোখের রোগ কারও আশার আলো নিভিয়ে না দিতে পারে। কেউ যেন অর্থের জন্য সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। সেই স্বপ্নকে সফল করতে আমি একটু একটু করে টাকা জমাতে শুরু করি। ২০১০ সালে হাসপাতালের জন্য জমি দেখতে শুরু করি। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান আমার এ পরিকল্পনা জানতে পেরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জমি দেন হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য। তৈরি করে দেন হাসপাতালের অবকাঠামো। হাসপাতালের জন্য অনুদান দিয়ে স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেন। বসুন্ধরা গ্রুপ এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টায় দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে থাকে চোখের সেবা।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে আমরা হতদরিদ্র মানুষকে সেবা দিয়েছি। অপারেশনের পরে যখন দৃষ্টি ফিরে আসে তখন রোগীর হাসিমুখ দেখাটাই আমাদের নির্মল আনন্দ। মানুষ যখন মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে, কৃতজ্ঞতায় যখন তাদের চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের হৃদয় সিক্ত হয়। চিকিৎসক হিসেবে এর চেয়ে বেশি আর কী পাওয়ার থাকতে পারে।’
দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো ও আধুনিক কারিগরি ব্যবস্থাপনায় তৈরি হাসপাতালটি চালু হয় ২০১৪ সালে। ১০ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালটি। বসুন্ধরার এই চক্ষু হাসপাতাল দেশের অন্যান্য চক্ষু হাসপাতাল থেকে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমী। এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে এবং বিত্তবানদের জন্য সামান্য বেশি মূল্যে একই মানের চিকিৎসা দেওয়া হয়। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে দরিদ্র যে কেউই এখানে এসে চিকিৎসাসুবিধা নিতে পারেন। মুসলমানদের জন্য আছে জাকাত ফান্ড; যা সম্পূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক। অন্যান্য ধর্মের মানুষের জন্যও ফান্ড আছে। দরিদ্র রোগীদের আধুনিক ও উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধ ও চশমা দেওয়া হয় এবং ইনভেস্টিগেশন ও অপারেশন করা হয়।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাইজা রহমান বলেন, ‘সাধারণ বহির্বিভাগে সকাল ৮টা ৩০ থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ৪০০ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন রোগীরা। বহির্বিভাগের প্রাইভেট সেকশনে দেখাতে চাইলে ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা। এই হাসপাতালে সামর্থ্য অনুযায়ী রোগীরা তাদের পছন্দে যে কোনো ওপিডিতে সেবা নিতে পারেন। কিন্তু সেবার মানে কোনো পার্থক্য নেই।’
এই হাসপাতালে দেওয়া সেবার মধ্যে রয়েছে- চোখের ছানি রোগ, কর্নিয়া অ্যান্ড এন্টিরিয়র সেগমেন্ট চিকিৎসা, ভিট্রিও রেটিনার চিকিৎসা, গ্লুকোমার চিকিৎসা, অরবিট অ্যান্ড অকুলোপ্লাস্টি চিকিৎসা, শিশুর চক্ষুরোগ, কন্টাক্ট লেন্স, চোখের মণির কোলাজেন ক্রসলিংকিং, টপকন ডিআরআই ওসিটি ট্রাইটন স্টেরিও ডিস্ক ফটোগ্রাফি, অপটিক্যাল কোহিয়ারেনস টমোগ্রাফি (ম্যাকুলা, অপটিক ডিস্ক ও রেটিনা), ওসিটি এনজিওগ্রাম (ম্যাকুলা অ্যান্ড অপটিক ডিস্ক) এন্টিরিয়র সেগমেন্ট ওসিটি, টপকন রেটিনাল ক্যামেরা ফান্ডাস ফটোগ্রাফি, এফএফএ, এফএএফ, রেড ফ্রি ফান্ডাস ফটোগ্রাফি, ইউবিএম, গ্রিন ইয়াগ অ্যান্ড এসএলটি লেজার, লো ভিশন এইড, কর্নিয়াল টপোগ্রাফি, পেরিমেট্রি (ভিজ্যুয়াল ফিল্ড অ্যানালিসিস), বি-স্ক্যান আলট্রাসাউন্ড, নন-কন্টাক্ট টনোমেট্রি (গ্লুকোমা স্ক্রিনিং), অটোলেন্স মিটার, স্পেকুলার মাইক্রোস্কোপি, ক্যাটার্যাক্ট স্টেশন ইকুইভ্যালেন্ট আইওএল মাস্টার, প্যাকিমেট্রি, বায়োমেট্রি, ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিসহ অত্যাধুনিক সব সেবা। রয়েছে বিশ্বমানের অপারেশন থিয়েটার।
জেবি/এসবি
সারাবো মডার্ন ফায়ার স্টেশন উদ্বোধন
🕐 প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবি: ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল
সারাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার গোবিন্দবাড়ীতে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, ১১ মডার্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ আতাহার হোসেন, গাজীপুর জেলার জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম, গণপূর্ত বিভাগ গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা, ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের উপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক, স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কাউন্সিলরগণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর সিল্টন আহমদের নেতৃত্বে একদল চৌকস অগ্নিসেনা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হককে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। অভিবাদন গ্রহণ করে প্রধান অতিথি সারাবো মডার্ন ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন এবং বেলুন উড়ান। তিনি স্টেশন আঙ্গিনায় একটি আমলকি গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ফায়ার সার্ভিসের ধর্মীয় শিক্ষক মাওলানা মো. খালেদ আহসান।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক মো. শহিদ আতাহার হোসেন, বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বর্তমান সরকারের সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “শিল্পঘন এলাকা হওয়ায় সারাবো ফায়ার স্টেশন এই এলাকার অগ্নিনিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখানে থাকবে বিশ্বের সর্বাধিক উচ্চতার ৬৮ মিটারের টার্ন টেবল লেডারসহ আধুনিক সরঞ্জাম। এই স্টেশনটি এলাকার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার প্রতিফলন।”
অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সময় ফায়ার সার্ভিসের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি, সারাবো মডার্ন ফায়ার স্টেশনসহ এখন চালু ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হলো ৫০০টি। তিনি মাননীয় মন্ত্রীকে এবং তাঁর মাধ্যমে বর্তমান সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেবি/এসবি
ভিসানীতি নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
🕐 প্রকাশ: ০৫:৫১ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল - ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এ নিয়ে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয়। বর্তমান সময় ও নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনা করবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শিবপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্র উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনও ঘাটতি নেই। আগে যেমন ছিল, এখনও তেমনই আছে। বিষয়টি নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।”
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে
তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা ভিসানীতিতে কোনো বাহিনী, দল কিংবা গোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করেনি। তারা এমনিতেও সবাইকে ভিসা দেন না। এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই।”
আরও পড়ুন: ওমরাহ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির
এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমজদার, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার রাশিদুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জেবি/এসবি
শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে
🕐 প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি
উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, “লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে, যার প্রভাবে পরদিন শুক্রবার থেকে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।”
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বাকি বিভাগগুলোর দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ওমরাহ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির
দেশে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা থাকতে পারে প্রায় অপরিবর্তিত। আগামীকালও বৃষ্টি একই রকম থাকতে পারে। তবে শুক্রবার-শনিবার থেকে বৃষ্টি আবার বাড়তে পারে লঘুচাপের প্রভাবে।
জেবি/এসবি
ওমরাহ করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির
🕐 প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম,২৭শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৩ বাংলাদেশির। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে মদিনা থেকে মক্কা ফেরার পথে তারা নিহত হন। নিহতদের ৩জনই কাতার প্রবাসী বাংলাদেশি বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহত ৩জন হলেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর শাহ আলম, নোয়াখালীর জাকির হোসেন ও সিলেটের কবির আহমদ।
তার কাতার থেকে মক্কায় ওমরাহ পালন ও মদিনা জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। নিহতদের মরদেহ কাতার সীমান্তের একটি সরকারি হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটি জেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
এর আগে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ১০টায় সৌদি আরব থেকে ওমরাহ করে কাতার ফেরার পথে সৌদি আরব বর্ডার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন কবির হোসেন নামের আরও এক বাংলাদেশি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মুছা মিয়া নামের আরেকজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে সতর্ক থাকতে বললেন আইজিপি
নিহতের মরদেহ সৌদি আরব আল হাসান হোপ কিং ফাহাদ হসপিটালের মর্গে আছে বলে জানান স্বজনরা।
নিহত কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের মেঘালয় গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে। আহত মুছা মিয়া ওই গ্রামের আসক আলীর ছেলে।
জেবি/এসবি
রাঙামাটি জেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
🕐 প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম,২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি ২৯৯ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বাবু দীপংকর তালুকদার।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশেষ কোন মহল পাহাড়ী জনপদে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অধিকতর অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন পার্বত্য এলাকায় আগের তুলনায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম অনেকাংশে কমেছে। তবে শতভাগ কমেছে আমরা তা বলবো না। পাহাড়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ, গুম হ্রাস পাওয়ার পিছনে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র ভূমিকা রয়েছে।
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এর সভাপতিত্বে জেলা সমাবেশ মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চট্টগ্রাম রেঞ্জ এর উপমহাপরিচালক মো. সাইফুল্লাহ্ রাসেল। দূর্গাপুজা ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাসহ যে কোন সরকারী দায়িত্ব অবশ্যই নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সাথে পালন করতে হবে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার, মীর আবু তৌহিদ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৭ আনসার ব্যাটালিয়ন, হাজাছড়া, শুভলং, রাঙ্গামাটি এর পরিচালক, মোল্লা আবু সাঈদ, ৩৮ আনসার ব্যাটালিয়ন, লংগদু, রাঙ্গামাটি এর অধিনায়ক, মো. আজিম উদ্দিন, ও ২৬ আনসার ব্যাটালিয়ন, ঘাগড়া, রাঙ্গামাটি এর অধিনায়ক, মো. জহুরুল ইসলাম এবং মো. আব্দুল মোন্তাকিম, সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট ও জেলা/উপজেলা দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
সমাবেশের স্বাগত বক্তব্যে রাঙ্গামাটি জেলা কমান্ড্যান্ট, ফয়জুল বারী বলেন, পাহাড়ের শান্তি, শৃঙ্খলা ও উন্নয়নে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ২৯৭০ জন হিল ভিডিপি, ১১৭ জন হিল আনসার ও ২৪০ জন অঙ্গীভূত আনসারসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা। যারা নিরাপত্তার পাশাপাশি যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন-পাহাড় ধ্বস, অগ্নিকান্ড ও বন্যা মোকাবেলায় সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন বিষয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তিনি আলোকপাত করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আইন -শৃঙ্খলা রক্ষাসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
উক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মানিত প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথির উপস্থিতিতে জেলা সমাবেশ উপলক্ষে কেক কাটা হয় ও উন্মুক্ত আকাশে বেলুন উড়ানো হয়। প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বাহিনীর সদস্যদরে মধ্যে ১০ টি বাইসাইকলে ও ১৪টি ছাতা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়। সমাবেশে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩শত সদস্য-সদস্যা উপস্থিত ছিলেন।
জেবি/এসবি