দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসী সংগঠনের অপতৎপরতা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:১৭ অপরাহ্ন, ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পার্বত্যাঞ্চলে পাহাড়ি আঞ্চলিক সংগঠন গুলো অপতৎপরতা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বেশকিছু গোপন সূত্রে মাধ্যমে জানা যায়, নির্বাচনকে সামনে রেখে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো অস্ত্র আনছে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র থেকে। এসব অস্ত্র নির্বাচনের আগে এবং পরে ব্যবহার করা হবে বলে জানা যায়।
পার্বত্য ৩ জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসলেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে। নিজেদের প্রার্থীদের জয়ী করানোর জন্য সাধারণ ভোটারদের মাথার উপর অস্ত্র ঠেকিয়ে ভোট চেয়ে বেড়ায়। ভোট না দিলে কিংবা তাদের প্রার্থী বিজয়ী না হলে প্রাণ ন্যাসের হুমকি দিয়ে থাকে এই সংগঠন গুলো। এছাড়াও তাদের সংগঠনের লোক দলীয় নেতার কথা অমান্য করে স্বতন্ত্র হিসাবে প্রার্থীতা করলেও প্রান হাড়াতে হয়।
আসছে আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসব সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো ইতিমধ্যে তাদের অস্ত্র আমদানি করা শুরু করে দিয়েছে। আর এই নিয়ে পার্বত্যবাসীর মনে ভয় সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই এসব আঞ্চলিক সংগঠনগুলো সাধারণ মানুষ থেকে চাঁদাবাজী, অপহরণ, গুম ও খুন এর মতো জঘন্ন কাজ করে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পাহাড়ে সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত দু’টি অত্যাধুনিক বিদেশি রাইফেলসহ অন্তত দেড় শতাধিক তাজা গুলি, বিস্ফোরক, গোলাবারুদ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়াও পার্বত্যাঞ্চলে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে।
তবে সম্প্রতি সীমান্তের নিরাপত্তা প্রহরীরা বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সর্তক রয়েছে নিরাপত্তাবাহীনির জোয়ানরা। এসময় তিনি আরো বলেন, মাদক ও চোরাচালান বন্ধেও আগের থেকে বেশি সক্রিয় বাহিনীর সদস্যরা।
পার্বত্যবাসীদের দাবি, সেনাবাহিনী ও সকল নিরাপত্তা বাহিনীরা, ‘ইউপিডিএফ ও জেএসএস সহ সকল সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করলে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ হবে, নয়তো আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অপৃতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেবি/এসবি