ফায়ার সার্ভিসে চালু হলো স্মার্ট ইআরসিসি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫৮ অপরাহ্ন, ১১ই অক্টোবর ২০২৩
ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় আইসিটি ভিত্তিক স্মার্ট ইমারজেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টার (ইআরসিসি) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। ইআরসিসি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে আধুনিকতার যুগে পা খারলো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ইমারজেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টার (ইআরসিসি) বাংলাদেশ কোরিয়া যৌথ অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইআরসিসি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক। প্রকল্পটি বাংলাদেশের অগ্নি ও দুর্যোগ জরুরি প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আগুনের ঝুঁকি ও মানব এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
'স্ট্রেংথেনিং অ্যাবিলিটি অব ফায়ার ইমার্জেন্সি রেসপন্স (এসএএফইআর)' শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ দলের অংশগ্রহণে চালু হয়েছিল। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৮.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পের অগ্রগতিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও বাংলাদেশে প্রথম স্মার্ট ইমার্জেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টারের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসে অংশীজনের অংশগ্রহণে সভা অনুষ্ঠিত
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিস আগের সেই দমকল বাহিনী নেই আমরা মানুষের সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছি। ৫০৩ টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। জনবল বৃদ্ধিসহ সকল অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছি।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং সিক, কোরিয়ান প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম এবং এফএসসিডি'র কর্মকর্তাগণ ইআরসিসি ভবন ঘুরে দেখেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আজ পযন্ত বর্তমান সরকার অনেক উন্নয়ন সাধিত করেছে। জনবল বৃদ্ধি, আজীন রেশন সুবিধাসহ ফায়ার সার্ভিস স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন এটা আনন্দের। প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পে ঢাকা ও এর আশেপাশের ২৮টি ফায়ার স্টেশন ইআরসিসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তারা সারা দেশের ৪৯০টি স্টেশনে এই ব্যবস্থা সম্প্রসারণ হবে।
জেবি/এসবি