ঘোড়াঘাটে আমন ক্ষেতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৫৯ অপরাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৩
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চলতি আমন মৌসুমে ধানের ক্ষেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
কৃষকেরা ধানের জমিতে গাছের ডাল, দঁড়ি, বাঁশের কঞ্চি পোঁতা রাখে। সেগুলোর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরা বসে ফসলের ক্ষতিকারন পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। এই পার্চিং পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের জন্য কার্যকর এবং পরিবেশ বান্ধব। এই পদ্ধতির ফসল উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যহার কম। অনেক কৃষক আমন ক্ষেতে কীটনাশক পরিহার করে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় মোট ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। তার মধ্যে চলতি আমন মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩ হাজার ৬৪৮ মেট্রিকটন।
পালশা ইউনিয়নের রুপশীপাড়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম বলেন, তিনি আমন ধানের জমিতে পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যহার করছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। এতে ক্ষেতের পোকা দমনে খুব একটা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়টি।
বুলাকীপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের লাবু খন্দকার বলেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের মাঠের সব জমির ধানেই পোকায় আক্রমন করত। অনেক সময় টাকার অভাবে বিষ দিতে পারিনা বা দিলেও কাজ হয় না।
কৃষি সম্প্রাসারণ অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান, এ উপজেলায় কৃষকেরা দুই ধরনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা ডেড পার্চিং ও লাইভ পাচিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিয়ে ডেড পার্চিং আর জীবন্ত ধইঞ্চা গাছ লাইভ পার্চিং। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৮টি বাঁশের আগা, কঞ্চি, ডাল পুঁতে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুজ্জামান জানান পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন এবং উপকারিতা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সুষম সার, ধান ক্ষেতের পোকা দমনের জন্য পার্চিং ব্যবহার পদ্ধতি ইতোমধ্যেই ব্যপক সাড়া ফেলেছে।
আরএক্স/