গাজায় ইসরাইলী বোমা হামলায় নিহত ২০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ২রা নভেম্বর ২০২৩
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সাথে তুমুল লড়াই চলছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মোসাদের। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী এই মোসাদ।
বুধবার (২ নভেম্বর) গাজার জাবালিয়ায় শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় হতাহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত এই শরনার্থী শিবিরে ২০০ জন নিহত হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১২০ জন এবং আহত হয়েছে প্রায় ৮০০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জাবালিয়ায় ইসরাইলি এই হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বলেছেন, এই ‘অসমানুপাতিক হামলা’ ‘যুদ্ধাপরাধ’ হতে পারে।
তবে, ইসরাইলের দাবি, হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মুখে সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে মিশরের উদ্দেশ্যে গাজা উপত্যকা ছেড়েছেন চার শতাধিক বিদেশি নাগরিক ও আহত সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। প্রায় ১ মাস অবরুদ্ধ থাকার পর চলমান সংঘাত থেকে প্রথমবারের মতো গাজা ছাড়ার সুযোগ পান তারা। এ সময় তাদের চোখে মুখে ছিল স্বস্তির ছাপ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ গাজা ছেড়েছেন। যার মধ্যে দ্বৈত ফিলিস্তিনি নাগরিক ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সংখ্যা ৩৩৫ জন। আর ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি রয়েছেন।
এর আগেও সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং দিয়ে মিশর থেকে দুই শতাধিক ট্রাক জরুরি ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলের কোনো সাধারণ নাগরিককে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত শুধু বিদেশিদের জন্য ওই সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী শাসকগোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যান অনেক বিদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক। যুদ্ধের পর থেকে গাজা ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। উপসাগরীয় দেশ কাতারের মধ্যস্থতায় অবশেষে সেই সুযোগ পেয়েছেন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আটকে যাওয়া এসব বিদেশি নাগরিকরা।
আরএক্স/