ইউক্রেনে ৫০০ কেজির বোমা হামলা, নিহত ২১
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
ইউক্রেনের সুমি শহরে আঘাত হেনেছে রাশিয়ার ৫০০ কেজি ওজনের একটি বড় বোমা। এতে দুটি শিশুসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে হামলা পরবর্তী সময়ের বিভৎসতা দেখা গেছে। পাথরে রক্তের ছোপ আর ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ তুলে আনা হচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষের নিথর দেহ পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা মানুষের সহায়তায় দৌড়াদৌড়ি করছেন। ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ বলছে, গত রাতে রাশিয়ার বিমানের পাইলট আরেকটি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তারা একটি আবাসিক ভবনে ৫০০ কেজি ওজনের বোমা মেরেছে।
সুমি আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান দিমিত্র জিভিটসকি বলেন, তারা শিশুদের হত্যা করছে। কোনো মানুষই তাদের বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তাদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না।
এদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন ছেড়ে লাখ লাখ নাগরিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ লোক ইউক্রেন ছেড়েছেন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি।
এর আগে তিনি বলেন, কিয়েভ-মস্কোর চলমান যুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি ও দ্রুত সময়ে শরণার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কেবল সাতদিনের মধ্যে আমরা দশ লাখ মানুষের ঢল দেখেছি। ইউক্রেন থেকে তারা প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র জোয়াং-আহ গেডিনি-উইলিয়ামসন বলেন, গেল ২ মার্চ মধ্যরাতে শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের জনসংখ্যার দুই শতাংশের বেশি অন্য দেশে পাড়ি জমাতে চাইলে এই ঢল নেমেছে।
ইউক্রেনের দুই শহর মারিউপুল ও ভলনোভাক থেকে নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার দ্বিতীয় দফার চেষ্টার সময়ে শরণার্থীদের নিয়ে নতুন এই তথ্য দিলেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া, পোল্যান্ড, মালডোভা ও হাঙ্গেরি হাজার হাজার শরণার্থীকে স্বাগত জানাচ্ছে। ইউক্রেনের শরণার্থীর সিংহভাগকে আশ্রয় দিয়েছে পোল্যান্ড। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে সাড়ে ছয় লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেন।
এসএ/