শ্রীনগরে ফুলকপি চাষে লাভের স্বপ্ন
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৫৯ অপরাহ্ন, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৩
বিখ্যাত আড়িয়ল বিলের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর অংশে ভিটায় শীতকালীন ফুলকপিসহ আগাম শাক-সবজির চাষ করা হচ্ছে। বির্স্তীণ এই আড়িয়ল বিলের সমতল জমিতে আগাম ও ভিটায় গুলোতে সবজি চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
ভিটায় উৎপাদিত ফুলকপিসহ উচ্ছে, খিরাই এবং অন্যান্য শাক-সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় এই সবজি চাষের দিকে ঝুকছেন স্থানীয়রা। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে উপজেলা ব্যাপী ফুলকপিসহ সবজি চাষে এক ধরণের বিপ্লব ঘটছে।
সবেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্যামসিদ্ধি, গাদিঘাট, শ্রীধরপুর, মদনখালী, বাড়ৈখালী ও আলমপুরে আড়িয়ল বিলের ভিটাগুলো সবুজে ঢাকা পড়েছে। ভিটাগুলোতে ফুলকপির যত্ন নিচ্ছেন কৃষকেরা।
শীতকালীন আগাম ফুলকপির আমদানী বাড়ায় খোলাবাজারে এর দাম কমতে শুরু করেছে। মাঝারি সাইজের ফুলকপি কেনাবেচা হচ্ছে ৩৫-৫০ টাকা। প্রকার ভেদে এর মূল্য কিছুটা কম-বেশী হচ্ছে।
এছাড়া উপজেলার আটপাড়া, কল্লিগাঁও, জুরাসার, মুসলিমপাড়ায় সমতল জমিতে ব্যাপক ফুলকপির চাষাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে সবেমাত্র জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করা হয়েছে। তবে গেল ঝূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে এসব সবজি জমির ক্ষতিসাধন হয়। শ্যামসিদ্ধির নুরজামান লিটন (৪১) বলেন, গেল বছর ২১ শতাংশের ভিটায় ফুলকপির বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন।
কুকুটিয়া এলাকার জুরাসারের সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছর তিনি প্রায় ৬ হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেন। এবারও সমপরিমাণ চারা রোপণ করেছেন। সব খরচ বাদে প্রায় তিন লাখ টাকা আয় হয়েছে।
প্রতি ফুলকপির উৎপাদণ খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ ৫ টাকা। তবে এ বছর জমিতে জলাবদ্ধতায় ফুলকপি চাষে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হন। তিনি বলেন, ফুলকপি, আগাম লাউসহ অন্যান্য শাক-সবজি চাষ থেকে বছরে তার অন্তত ১০ লাখ টাকা আয় হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, উপজেলায় প্রায় ৭০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শাক-সবজির চাষাবাদ হয়। এরই মধ্যে আড়িয়ল বিলের উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারে আসছে। উচ্চ ফলনশীল সবজি চাষের জন্য স্থানীয়দের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আরএক্স/