গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৩৬ অপরাহ্ন, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৩


গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।


শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।


দগ্ধরা হলেন- আবাসিক ভবনটির একটি ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার রিজভী আহমেদ রাসেল (৪৫), তার মা সাহিদা বেগম (৬০), স্ত্রী রোজী আক্তার (৩০) ও আড়াই বছরের ছেলে রাইয়ান। এদের মধ্যে সাহিদা বেগমের অবস্থা গুরুতর।


দগ্ধ রিজভী আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, তারা ১ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের পাশেই একটি ভবনের পঞ্চম তলার বাসায় ভাড়া উঠেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রোগ্রাম অফিসার। আর তার স্ত্রী গৃহিণী।


তিনি আরও জানান, সকালে তিনি, তার স্ত্রী এবং সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। আর তার বাবা ফজরের নামাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। এ সময় তাদের মা রান্নার জন্য উঠেন। চুলা জ্বালাতেই সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তার মায়ের শরীর পুরোটাই পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘুমন্ত অবস্থায় তারাও দগ্ধ হন।


আরও পড়ুন: রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী


রিজভীর বাবা রজব আলি গণমাধ্যমকে জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাইরে হাঁটাহাটি করতে গিয়েছিলেন। হাঁটাহাটি শেষে বাসার ফেরার সময় শুনতে পারেন, তাদের বাসায় বিস্ফোরণে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে তাদেরকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে ঢাকায় নিয়ে আসেন।


আরও পড়ুন: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ৩ কাঠা জমি


বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “শাহিদা খাতুনের শরীর ৯৫ শতাংশ, রিজভির ১০, রাইয়ানের ৮ ও রোজিনার ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবারই মুখমন্ডল দগ্ধ হয়েছে। এজন্য সবাইকেই আশঙ্কাজনক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।”


জেবি/এসবি