ফিলিস্তিনের সমর্থনে আইসিসির বিরুদ্ধে লড়বেন খাজা


Janobani

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:২৭ অপরাহ্ন, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৩


ফিলিস্তিনের সমর্থনে আইসিসির বিরুদ্ধে লড়বেন খাজা
ছবি : সংগৃহীত

রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন অজি তারকা উসমান খাজা। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন তিনি। তার জুতায় লেখা ছিল, ‘স্বাধীনতা আসলে মানবাধিকার। প্রতিটি জীবনের মূল্য সমান।’


বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের বল মাঠে গড়ায়।


আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ


জুতায় এই লেখার কারণেই বিতর্কে পড়তে যাচ্ছিলেন তিনি। খাজা স্থির করেছিলেন, এই বার্তা সম্বলিত জুতা পরেই প্রথম টেস্টে খেলতে নামবেন। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জানা গেলো, এই বার্তা সম্বলিত জুতা পরে খেলতে নামতে পারেননি তিনি। এ কথা জানিয়েছেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এক ভিডিও বার্তায় খাজা নিজে বলেছেন, তার এই লেখাটা রাজনৈতিক নয়।


প্যাট কামিন্স বলেছেন, ‘আমাদের দলের প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত ও চিন্তাভাবনা আছে। এটাই আমাদের শক্তিশালী দিক। আমার সঙ্গে উজির (উসমান খাজা) দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার মনে হয় না, বিষয়টাকে খুব বড় করে দেখানোর ইচ্ছা ছিল ওর। তবে আমরা ওর পাশে রয়েছি। উসমান জানিয়েছে, ও আর এমন বার্তাবহ জুতা পরে খেলতে নামবে না।’


আরও পড়ুন: যে চ্যানেলে দেখা যাবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ


আইসিসির নিয়মানুযায়ী, অনুমতি ছাড়া ক্রিকেটার ও ম্যাচ কর্মকর্তারা পোশাকে এবং ক্রিকেট সরঞ্জামে রাজনৈতিক কোনও বার্তা ব্যবহার করতে পারবেন না।


অতীতে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মইন আলি। একইভাবে নিষিদ্ধ হতে পারতেন খাজাও। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি বার্তা সম্বলিত জুতা পরে আর খেলতে নামা হয়নি এই অজি তারকার।


এদিকে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট ম্যাচের বল মাঠে গড়ায় আজ বৃহস্পতিবার। তার আগেই কিন্তু পরিস্থিতি বেশ জমে উঠেছে। আইসিসি ও খাজার মধ্যে ‘যুদ্ধ’ অব্যাহত।


এক ভিডিও বার্তায় খাজা বলেছেন, ‘আমার প্রশ্ন, স্বাধীনতা সবার জন্য নয়? প্রত্যেকটা জীবন সমান নয়? জুতায় যেটা লিখেছি, তা মোটেও রাজনৈতিক নয়। আমি কোনও পক্ষ গ্রহণ করিনি। আমার কাছে প্রত্যেকটি মানুষের জীবনই সমান। একজন ইহুদি, একজন মুসলিম, একজন হিন্দু- প্রত্যেকের জীবন আমার কাছে সমান। আমি তাদের হয়েই বলেছি, যাদের কথা বলার অধিকারই নেই। হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু মারা যাচ্ছে। ওই জায়গায় আমি আমার দুটি মেয়েকে কল্পনা করি। ওরা যদি ওখানে থাকত, তাহলে কী হতো?’


জেবি/এজে