পাবনায় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা-ভাংচুর, সভাপতি আহত


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৩


পাবনায় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলা-ভাংচুর, সভাপতি আহত
বর্ধিত সভায় চেয়ার ভাংচুর। ছবি: জনবাণী

পলাশ হোসেন, পাবনা: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসনভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ  আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বর্ধিত সভার চেয়ার ব্যাপক  ভাংচুর করা হয়েছে।



বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন: পাবনা মোটর চালক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ


এ বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের অফিসে সংগঠনের বর্ধিত সভা চলছিল। 


এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা  মুস্তাকিম মুহিবের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতা  নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন করেন। এতে ছাত্রলীগের সভায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ব্যাপক ভাংচুর করা হয় বর্ধিত সভার চেয়ার।


এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব বলেন, দুই বছর ধরে ছাত্রলীগের কোনো পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই। গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে কমিটি চলছে। এতে অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাবনা সদর থানা ও এডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক জায়গায় বছরের পর বছর ধরে কমিটি নেই।  সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। ১৩২ জনের কমিটিতে ৩০ জনও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নাই। এই কমিটি কার সঙ্গে সমন্বয় করে গঠন করলো? কেন প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রাখা হয়নি। এসব নিয়ে বর্ধিত সভায় প্রশ্ন করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার ওপর চড়াও হয়। আমি আত্মরক্ষা করে চলে আসার সময় একটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়।


আরও পড়ুন: দেশের সর্ব কনিষ্ঠ প্রার্থী সাংবাদিক পারভীন খাতুন


এব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, আমরা বর্ধিত সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করছিলাম। এসময় পেছন থেকে তারা হৈ হৈ করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনায় আমরা কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। সন্ত্রাসীদের কোনো অবস্থা ছাত্রলীগে নেই, থাকতেও পারবে না।


পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরএক্স/