পদ্মার চরে বসতিদের আঙ্গিণায় আগাম লাউয়ের সমারোহ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৩


পদ্মার চরে বসতিদের আঙ্গিণায় আগাম লাউয়ের সমারোহ
আগাম লাউয়ের সমারোহ। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের সীমানাবর্তী পদ্মার চরে বসতিদের আঙ্গিণা জুড়ে আগাম লাউয়ে স্থানীয়দের মুখে হাসি ফুঁটেছে। বাঘড়া বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দক্ষিণে চরটিতে বসবাস করছেন প্রায় ২ শতাধিক পরিবার। 


বাড়ির আঙ্গিণায় উঁচু মাচায় ঝুলে আছে অসংখ্য লাউ। পরিবারগুলো নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত এসব লাউ বিক্রি করছেন স্থানীয় হাটবাজারে। যেখানে বর্তমান খোলা বাজারে সবজির উর্ধ্বগতি দামে সাধারণ ক্রেতারা হাপিয়ে উঠেছেন সেখানে পদ্মার চরে বসতিরা বাড়ির আঙ্গিণায় উৎপাদিত শাক-সবজিতেই আস্তা পাচ্ছেন। 


আরও পড়ুন: শ্রীনগরে গরম কাপড়ের দোকানে জমছে ভিড়


বর্তমান বাজারে মাঝারি সাইজের আগাম লাউয়ের পিস কেনাবেচা হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা করে। পদ্মার চরে বেশীরভাগ পরিবারই চরের ভূমিতে মৌসুমী নানান শাক-সবজির আবাদ করে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন। 


সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাঘড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আওতাধীন বিদ্যুৎহীন দুর্গম পদ্মার চরের বসতিরা বাড়ির উঠানে দেশী জাতের লাউ চাষ করছেন। লাউয়ের উঁচু মাচার তলে নিচু মাচা স্থাপন করেও পূঁইশাক, ধুন্দল ও শিমের চাষ করছেন। 


এছাড়া বাড়ির আঙ্গিণায় কাঁচা মরিচ, বেগুন, ঝালি কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাল শাকসহ অন্যান্য সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন তারা। পদ্মা নদীতে মাছ শিকারের পাশাপাশি চরে গবাদি পশু-পাখি লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। পরিবারের নারীরা সংসারের খরচ বাঁচাতে বাড়ির উঠানে গড়ে তুলেছেন মৌসুমী শাক-সবজির বাগান। 


জাফর সরকার, সামু সরকার, জাহাঙ্গীর বেপারী, নুরালী বেপারী, হিমু, কবির সরকারসহ পদ্মার চরের বাসিন্দারা জানান, স্থায়ীভাবে এ চরে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন। পরিবারের পুরুষরা মৎস্য শিকার ও দিনমজুরের কাজ করেন। গবাদি পশু-পাখি পালনের পাশাপাশি সবজির চাষ করেন। 


এখন প্রাই বাড়ির উঠানে দেশী জাতের আগাম লাউয়ের আবাদ করা হয়েছে। মাচায় অসংখ্য লাউ ধরেছে। নিজেদের চাহিদা শেষে টাটকা এসব লাউ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। সবজির বাজারে লাউয়ের চাহিদা থাকায় উৎপাদিত লাউ বেশী দামে বিক্রি করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করছেন তারা।


আরএক্স/