আমি শীতের পাখি নই: মাহিয়া মাহি

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি বর্তমান সময়ে নির্বাচনী কাজে নিজ এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে এ অভিনেত্রীকে নিয়ে তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী বিভিন্ন সময় মন্তব্য করছেন। আর এবার মাহিকে ‘শীতের পাখি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন মাহি। এ সময় অভিনেত্রী বলেন, আমি শীতের পাখি নই।

এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা তো মাঝেই মাঝেই আমার সাথে আসেন এবং সাক্ষাৎকার নেন। এর পাশাপাশি গ্রামেগঞ্জে গিয়েও ইন্টারভিউ নেন আমার। আপনারাতো দেখেছেন আমি কি ধরনের বক্তব্য দেই এবং জনগণের কি পরিমাণ সাড়া। আমি জনগনের মনের কথাটা মুখ দিয়ে বলার চেষ্টা করি। সেখানে অন্য কোনো পার্থী তো এরকম বক্তব্য দেন নাই।

আরও পড়ুন: বছর শেষে সংসার জীবনের ইতি টানলো ইশা

এখন যার বিরুদ্ধে বলি তার তো এখন একটু গায়ে লাগবেই। এটা খুবই নরমাল বিষয়। কারণ, সে দেখতে পাচ্ছে যে, তার সাথে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি তার সেরকম জনপ্রিয়তাও নেই। এখন যখন এলাকা হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। সেখানে অন্য পক্ষকে তো আক্রমণ করবেই।

শীতের পাখির বিষয়ে মাহি বলেন, শীতের পাখি বলতে যদি তার বিষয়ে এভাবে বলি যে, এটা তার জন্য ভীষণ অপমানজনক হবে। কেননা, কেউ একজন ১৫ বছর ধরে মাঠে থেকেও মাঠ গরম করতে পারল না। জন সাধারণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারল না। কিন্তু তার কথা অনুযায়ী, আরেকজন শীতের পাখি আসার পর তিন মাসের ভিতরে যদি জনগণ তার পক্ষে চলে যায়, তাহলে বুঝে নিতে হবে বিগত ১৫ বছরে তার কোনো প্রকার অর্জন নেই।

আরও পড়ুন: ধুম ৪: চোরের ভূমিকায় শাহরুখ না রাম চরণ?

অভিনেত্রী আরও বলেন, আমাকে শীতের পাখি কি জন্য বলেছে এটা তো তারই ভালো জানা। উনি যদি আমাকে শীতের পাখি বলেও থাকে, যে শীতের পাখি এসে তিন মাসের মধ্যেই ১৫ বছরের মাঠ কেউ নিয়ে যেতে পারে, এটা তো তাদের জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। আর হ্যা শীতের পাখি আমি না। আপনারা সবসময় খবরে দেখছেন যে, আমি পথে ঘাটে সমাবেশ করছি, বাড়ী ঘরের উঠানে উঠানে গিয়ে কাজ করছি। এমনকি গ্রামের কৃষক ভাইদের কাছে গিয়েও তাদের সাথে কথা বলছি।

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এ চিত্র নায়িকা। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পর প্রার্থিতা ফিরে পান মাহি।

আরও পড়ুন: গাঢ় রঙের শাড়িতে গ্ল্যামার ছড়ালেন নুসরাত জাহান

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা)। নির্বাচনে তার প্রতীক ট্রাক। আর দলীয় প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি টানা ৩ বার সংসদ নির্বাচনে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন।

আসন্ন নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১০ জন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার নিপা), স্বতন্ত্র মো. আখতারুজ্জামান (ঈগল প্রতীক) এবং  স্বতন্ত্র মো. গোলাম রাব্বানী (কাঁচি প্রতীক), জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন (লাঙ্গল প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির জামাল খান (সোনালী আঁশ প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নুরুন্নেসা (আম প্রতীক), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের বশির আহমেদ (ছড়ি প্রতীক), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) আল সামাদ (টেলিভিশন প্রতীক), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) এবং সামসুজ্জোহা বাবু (নোঙর প্রতীক)।

এমএল/