বাবা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন: কঙ্গনা


Janobani

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, ১০ই জানুয়ারী ২০২৪


বাবা আমাকে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন: কঙ্গনা
কঙ্গনা রানাউত | ছবি: সংগৃহীত

কঙ্গনা রানাউত বলিউডের জনপ্রিয় তারকা। বলিপাড়ায় ঠোঁট কাটা হিসেবেও বেশ পরিচিত এই অভিনেত্রী। কথা বলতে যেন কাউকেই ভয় করেন না তিনি। তবে কঙ্গনার বাবা গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন তাকে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন কঙ্গনা।


অনেক মেধাবী ছাত্রী ছিলেন কঙ্গনা। খুব ছোটবেলা থেকেই মা-বাবা আশা করেছিলেন মেয়ে চিকিৎসক হোক। কিন্তু কঙ্গনা চিকিৎসক নয়, পর্দার অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। আর বাস্তবে হয়েছেনও তাই। বর্তমানে বলিউডে শক্ত অবস্থান রয়েছে কঙ্গনা রানাউতের। সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনারও দায়িত্বেও আছেন তিনি।


আরও পড়ুন: দক্ষিণী অভিনেত্রী রাশমিকার বিয়ের গুঞ্জন


বলিউড পাড়ার সুপরিচিত লেখক, গীতিকার মনোজ মুনতাসিরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানান, কৈশোরে থাকাকালীন তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক নয়, একটু আলাদাভাবে গড়তে চান নিজের ক্যারিয়ার। মডেলিং পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান। আর মেয়ের এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি কঙ্গনার বাবা।


মাধ্যমিকের পড়া শেষে মেডিকেলের কোচিং করতে চণ্ডীগড়ে যান কঙ্গনা। কিন্তু সেখানে কোচিং না করে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। আর সেবার বিজয়ীর মুকুট ওঠে কঙ্গনার মাথায়।


তখনই কঙ্গনা ঠিক করেন, তিনি ডাক্তারি পড়বেন না। মডেলিং করবেন এবং বিজয়ের মুকুট ব্যাগে পুরে বাড়ি ফেরেন। বলা যায় যে, শোবিজের টানেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন এ অভিনেত্রী।


আরও পড়ুন: দক্ষিণী অভিনেত্রী নয়নতারার বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ে জিডি


এদিকে মেয়ের এই সিদ্ধান্ত কঙ্গনার বাবার কাছে ছিল অনেক বড় ধাক্কা। এমনকি আশপাশের মানুষ ও সমাজের কাছ থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, সেটা নিয়েও ব্যাপক ভয়ে ছিলেন এই অভিনেত্রীর বাবা।


শুধু তাই নয়, হিমাচলের রাজপুত পরিবারের কর্তা কঙ্গনার বাবাও রেগে গিয়ে এটাও বলেছিলেন, আমার বন্দুকটা নিয়ে আয়, ওকে গুলি করে মেরে ফেলব। পাশাপাশি সিনেমা জগতে আসার সিদ্ধান্তে কঙ্গনার বাবা তাকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, এরপর থেকে তিনি আর মেয়ের কোনো দায়িত্ব নেবেন না। অভিভাবক হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না। যদিও অভিনেত্রীর বিশ্বাস যে, তার বাবার নেওয়া সেইসব পদক্ষেপের কারণেই তিনি আজকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। অনেক আত্মবিশ্বাস এসেছে তার মধ্যে।


আরও পড়ুন: বিভিন্ন জুয়ার অ্যাপে জড়িয়ে পড়েছেন যেসব তারকারা


কঙ্গনা আরও জানান, তার পরিবারের সব সদস্যরা সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ঐতিহ্যগত বিশ্বাস ধারণ করে। এই বিশ্বাস অনুসারেই, নারীর নির্দিষ্ট সীমানা বা গণ্ডি অতিক্রম করা ঠিক নয় এবং সেই গণ্ডি অতিক্রম করা গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, যা বন্দুক বিষয় প্রতীকী।


তবে প্রথমের দিকে মেয়ের সাফল্য বিশ্বাস না হলেও জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কঙ্গনাকে নিয়ে অনেক গর্ব বোধ করেছিলেন তার বাবা। বর্তমানে মেয়ের এমন সাফল্যে বেশ গর্বিত তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার


এমএল/