কেন বিসিবি ছাড়ছেন, জানালেন বিসিবি বস


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৫২ অপরাহ্ন, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৪


কেন বিসিবি ছাড়ছেন, জানালেন বিসিবি বস
নাজমুল হাসান পাপন | ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ার পরই বিসিবি বসের মন্তব্য, যত দ্রুত সম্ভব বিসিবির দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান পাপন।


 শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমের সাথে এ কথা জানান তিনি।


পাপন বলেন, আইনে কোনো প্রকার সমস্যা নেই, এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি; তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি আছে। এটা সবারই ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কোনো কিছু না। তারপরও আমি বলে রাখি, আমি যদি এই ক্রিকেট বোর্ডে, এবং মন্ত্রণালয়ে না-ও থাকি, তবু ক্রিকেট সবসময় আমার সাথেই থাকবে। এটা মন থেকে তো আর কখনোই সরানো যাবে না।


আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হলেন বিসিবির বস


সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা প্রসঙ্গে বোর্ডের সভাপতিত্ব ছেড়ে দেওয়ার পেছনের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।


বিসিবি বসের ভাষ্য মতে, ভালো হয় যদি আলাদা হয়ে যাই। আলাদা হয়ে গেলেই ভালো হবে। কারণ, তাহলে আর মানুষের মধ্যে ওই সন্দেহটা থাকবে না, যে হয়তো আমি ক্রিকেটকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। কারণ, আমি সমান গুরুত্ব সবগুলোকে দিতে চাই। তবে প্রায়োরিটি ভিত্তিক হবে।


তিনি আরও যোগ করেন, আমি এই টার্মে এটা হতে চাইনি। আমার ইচ্ছে ছিল না, কিন্তু হয়েছি। আগে থেকেই বলেছি, এটাই আমার শেষ টার্ম হবে। এখন যেহেতু নতুন একটা দায়িত্ব এসেছে, আমার মনে হয় এখন সরে যেতে পারলে ভালো হবে। তবে আমি এমন কিছুই করব না, যাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি হয়। আর সেটা মাথায় রাখব। যেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে, আমি তাই করব। সঠিক পথে আগে বের হয়ে আসতে পারলে সরে আসব, তবে আসার আগে এটাও নিশ্চিত করব যে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। এবং সামনে কী হবে, সেটা পরিস্থিতির ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করবে। অনেক কিছুই আছে আমি কখনো ভাবিনি; আমি করব, কিন্তু এখন তো সেটা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: তামিমকে পেস বল না খেলার পরামর্শ দেন মাহমুদুল্লাহ


বিসিবি বসের দাবি, প্রথম কথা হচ্ছে ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), আর শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি হুট করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের জন্য ক্ষতি হতে পারে।


এমএল/