স্বপ্নতরী: সমুদ্র উপভোগের নতুন মাধ্যম


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, ২১শে জানুয়ারী ২০২৪


স্বপ্নতরী: সমুদ্র উপভোগের নতুন মাধ্যম
স্বপ্নতরী। ছবি: জনবাণী

বঙ্গোপসাগরের উপকুল ঘীরে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ‘স্বপ্নতরী’। যেটি কক্সবাজারে আগত পর্যটক সহ ভ্রমণপিয়াসু মানুষকে দিবে সমুদ্র উপভোগের সুযোগ। যার মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের আরও একটি নতুন দ্বারেরও উন্মোচন হতে যাচ্ছে।


কর্ণফুলী শীপ বিল্ডার্স লিমিডেট নামের একটি প্রতিষ্ঠান ‘এমভি স্বপ্নতরী’ নামের এই নৌযান চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজারের ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানিয়েছেন, কাঠের তৈরি নৌযানটির ধারণ ক্ষমতা ১৪৬ জন। এটি প্রতিদিন দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে সমুদ্র যাত্রা দেবে। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত নুনিয়ারছড়া ঘাট হয়ে যাত্রা দিয়ে মহেশখালীর সোনাদিয়া, শাপলাপুর পয়েন্ট ঘুরে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট হয়ে ঘাটে ফিরে আসবে। আর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত র্বাকখালী নদীর কস্তুুরা ঘাট নতুন ব্রিজ পার হয়ে আবার নাজিরারটেক নতুন এয়ারপোর্ট রানওয়ে হয়ে মহেশখালীর আশে-পাশে ঘুরে ঘাটে ফিরবে।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আইস ও ইয়াবাসহ আটক ২


তিনি জানান, নৌ যানটিতে সব সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত থাকবে, থাকবে আনসার সদস্য। পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া ও অর্গ্নি নির্বাপক যাবতীয় সরঞ্জাম মওজুদ রয়েছে।


বাহাদুর বলেন, প্রাথমিকভাবে সকালের যাত্রায় দুপুরের খাবার সহ জনপ্রতি ১ হাজার ৬০০ টা নেয়া হবে। দুপুরের খাবারে থাকবে চিংড়ি, মুরগী, সবজি, ডাল, সালাদ, কোল্ড ড্রিংস,ও পানি। রাতে যাত্রায় জনপ্রতি ২ হাজার টাকা করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্থানীয় পিঠা ও স্থানীয় খাবার কয়েক রকমের থাকবে।


তিনি আশা করছেন আগামি ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড


কক্সবাজার পর্যটন শিল্প সমিতির সভাপতি বেলাল আবেদিন ভ‚ট্টো জানান, পর্যটনের জন্য খুব সম্ভাবনাময় সমুদ্র শহর কক্সবাজার। যেখানে বিস্তৃর্ণ সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ, সেন্টমার্টির যাত্রা, রামু বৌদ্ধবিহার সহ কয়েকটি স্পটেই সীমাবদ্ধ পর্যটকের আনাগোনা। প্রকৃতিক সৌন্দর্যের সমুদ্র, পাহাড়দ্বীপ মহেশখালী, কুতুবদিয়া সহ আরও অনেক কিছুই রয়েছে। এটার জন্য স্বপ্নতরীর সংযোগ পর্যটন শিল্পের আরও একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করতে। এতে বিকশিত হবে পর্যটন।


আরএক্স/