বাবর-ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করেই রংপুরের জয়


Janobani

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, ২৩শে জানুয়ারী ২০২৪


বাবর-ওমরজাইয়ের ব্যাটে ভর করেই রংপুরের জয়
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডার্স কতটা খারাপ খেলা যায়, তারই যেন প্রতিযোগিতা করেছে! আগে ব্যাট করা সিলেট ৫ উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ৩৯ রানের ব্যাবধানে। এরপর তাদের করা ১২০ রানের মামুলি পুঁজির সামনেও রংপুরের টপ অর্ডার ব্যাটাররা খাবি খেয়েছে। তারাও সমান ৩৯ রানে হারিয়ে বসেছিল মূল্যবান ৬ উইকেট। যদিও সেখান থেকে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের ফিফটি ও আফগান তারকা হজরতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ব্যাটে রংপুর শেষমেষ ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে।


বিপিএল দশম আসরের ঢাকাপর্বের প্রায় ম্যাচেই একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়— তা হচ্ছে দিনের ম্যাচ গুলোতে স্বল্প রানের নজির। এরপর রাতের ম্যাচে টি-টোয়েন্টির চিরচেনা মেজাজ ফিরতে দেখা যায়। এর আগে চলতি বিপিএলে সর্বনিম্ন ১২১ রান করে পরাজিত হয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবার তাদের চেয়ে এক রান কম নিয়ে সর্বনিম্ন পুঁজি গড়ে ম্যাশের দল। সেই রানের ভেতরও সিলেটের বোলাররা ম্যাচটা কিছুটা হলেও জমিয়েছেন। সেখানে অবশ্য, ব্যাটারদের কোনো কৃতিত্ব নেই সেই যুক্তিও দেখানো বেশ কষ্টসাধ্য!


আরও পড়ুন: টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে রংপুর


সাকিব আল হাসান-বিহীন রংপুরের হয়ে এদিন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন বাবর আজম। তার ব্যাটেই এসেছে দলটির প্রথম ম্যাচ জেতার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। ৪৯ বলে ৬টি চারের বাউন্ডারিতে পাকিস্তানি এই তারকা ৫৬ রান করেছেন। অন্যদিকে আরেক বিদেশি অলরাউন্ডার আফগানিস্তানের ওমরজাই ৩৫ বলে দুটি চার ও তিন ছক্কায় করেছেন মূল্যবান ৪৭ রান। এদিন সিলেটের হয়ে ২০ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পেয়েছেন লঙ্কান স্পিনার দুশান হেমন্থ।


এর আগে সিলেটের স্বল্প পুঁজি তাড়া করতে নেমে রংপুরও শুরু থেকেই কাঁপাকাপি পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলে। শুরুটা ওপেনার রনি তালুকদারকে দিয়ে, রিচার্ড এনগারাবার বুক সমান উঁচু বল খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৬ রানে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। এরপর নাজমুল ইসলাম অপুর বলে রানের ৫ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন ব্রেন্ডন কিং। এরপর বলার মতো রানের দেখা পাননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, শামিম পাটোয়ারী, মোহাম্মদ নবি এবং শেখ মেহেদীরা। তাদের কেউই দুই অঙ্কের কৌটায় পৌঁছাতে পারেননি।


আরও পড়ুন: মুশফিকের ব্যাটে ভর করে বরিশালের বড় সংগ্রহ


তানজিম সাকিবের বলে ৮ রানে ফিরেছেন ক্যাপ্টেন সোহান। বাকি তিন ব্যাটারই হেমন্থের বলে এলবিডব্লু’র ফাঁদে কাঁটা পড়েন। শামিম ২ এবং নবি-মেহেদী আউট হন ডাক মেরে। এরপর রংপুরকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন বাবর-ওমরজাই জুটি। আর এই জুটিই শেষ পর্যন্ত রংপুরের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে। ৬৮ বলের ব্যাবধানে এই জুটিতে আসে ৮৬ রান।


এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং-বিপর্যয় দেখিয়েছে সিলেটের ব্যাটাররা। বেনি হাওয়েল ৪৩ এবং বেন কাটিংয়ের ৩১ রানের সুবাদে তারা নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১২০ রান করতে সক্ষম হয়। এছাড়া নাজমুল শান্ত’র ১৪ রান ছাড়া বাকি কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট পেয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান ও রিপন মন্ডল।


এমএল/