তখন কিছুটা আবেগ তো আসবেই: স্টোকস
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮:০১ অপরাহ্ন, ২৪শে জানুয়ারী ২০২৪

ভারত ও ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি ) থেকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে। ভারতের মাটিতে খেলতে নামার আগেই ব্যতিক্রমী ঝামেলায় পড়েছে সফরকারীরা। দেশটির ভিসা না পাওয়ায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইংলিশ স্পিনার শোয়েব বশির ইতোমধ্যেই নিজ দেশে ফিরে গেছেন। যা নিয়ে বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশ দুটির ক্রিকেট মহলে। এর ভেতরেই গুঞ্জন উঠেছে— ইংল্যান্ড ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট বয়কট করতে পারেন। ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন।
ইংল্যান্ড দল ভারতে আসার আগে কিছুদিন আবুধাবিতে অনুশীলন করেছে। ২০ বছর বয়সী অনভিষিক্ত স্পিনার বশিরও সেখানে দলের সাথেই ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভিসা না পাওয়ায় তিনি সেখান থেকে নিজ দেশে ব্যাক করেছেন। ফলে হায়দরাবাদে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে যে তার খেলা হচ্ছে না, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। আর যা নিয়ে অধিনায়ক স্টোকস চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিপিএল খেলতে ঢাকার পথে বাবর আজম
এই তারকা অলরাউন্ডার প্রথম টেস্ট বয়কটের গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘বশিরের ভিসা নিয়ে জটিলতায় আমি সত্যিই হতাশ। তবে প্রথম টেস্ট বয়কটের কোনো সুযোগ নেই। স্টোকস জানান দলনেতা বা অধিনায়ক হিসেবে যখন আপনার কোনো সতীর্থকে ঝামেলায় পড়তে দেখেন, তখন কিছুটা আবেগ তো কাজ করবেই।’ সে হিসেবে কিছুটা ব্যঙ্গ করে বলতে গিয়ে দলের মাঝে বয়কটের ধারণা ঢুকিয়ে দেন বলেও, ‘দলের মাঝে আমার মাধ্যমেই বয়কটের এই ধারণা ঢুকে গিয়েছিল, কিন্তু এটি ছিল অনেকটা মুখ ফসকে বের হওয়ার মতো।’
গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়— ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বলছেন, ‘আবুধাবিতে অবস্থানকালে যখন আমি প্রথম খবরটি (বশিরের ভিসা না হওয়া) শুনলাম, আমি তাৎক্ষণিক বলে ফেলেছিলাম যে ওর ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ভারতের বিমানে উঠব না। আমি জানি এমনটা বলা ও বাস্তবায়ন করা অনেক বড় ধরনের সিদ্ধান্ত। তবে খুব সম্ভবত আমি এটা আবেগের বশেই বলে ফেলেছি। সিরিজ শুরুর আগমুহূর্তে ভারতের বিমানে না ওঠার কোনো প্রকার সুযোগ নেই, কিন্তু বশির খুব ভালো করে জানে তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ পেয়েও অযোধ্যায় গেলেন না রোহিত শর্মা
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয় বেশ পুরোনো ঘটনা। আর যে কারণে তাদের ক্রীড়াঙ্গনে হরহামেশাই উত্তাপ ছড়াতে দেখা যায়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজাও গত বছর বশিরের মতো একই সমস্যায় পড়েছিলেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে জন্ম নেওয়া খাজা সতীর্থদের সাথে ভারতে পা রাখতে পারেননি; যদিও পরবর্তীতে খাজা দলের সাথে যোগ দিয়েছিলেন। সর্বশেষ গত বিশ্বকাপেও পাকিস্তান দল ভিসা জটিলতায় পড়েছিল, তাদের হাতে ভিসা পৌঁছেছিল বিশ্বকাপের ঠিক আগেরদিন।
উল্লেখ্য, নতুন করে সমস্যায় পড়া ইংলিশ ক্রিকেটার অফ স্পিনার বশিরের জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডের সারেতে। ফলে এই ক্রিকেটার ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। কিন্তু পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হওয়ায় ভারতের ভিসা পেতে তার দেরি হচ্ছে। যদিও ঝামেলাটা নতুন কিছু নয়। অথচ দ্রুত ভিসার কার্যক্রম শেষ করতে গত ১১ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ১৯ বছর বয়সী লেগ-স্পিনার রেহান আহমেদও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ছিলেন । সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে স্ট্যান্ডবাই থাকায় রেহানের ভিসা–সম্পর্কিত কাগজপত্রের কাজ তখনই সম্পূর্ণ করা হয়েছিল। তাই এবারের সফরে তার ভারতে আসতে সমস্যা হয়নি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১০টায় ভারত-ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট শুরু হবে।
এমএল/