মাশরাফির সিলেটের টানা চতুর্থ হার
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জানুয়ারী ২০২৪
সিলেট স্ট্রাইকার্স বিপিএলের গত আসরে ফাইনাল খেলেছিল। মাশরাফি বিন মর্তুজার দল এবারও শক্তিশালী দল গড়ে সেই স্বপ্ন দেখেছিল। তবে মাঠের পারফম্যান্সে দেখা যাচ্ছে ঠিক উল্টোটা। এখনও পর্যন্ত আসরে ৪ ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পায়নি শান্ত-ম্যাশরা। ঘরের মাঠে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে সিলেট।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রাম জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিপক্ষে নড়বড়ে পুঁজি সিলেটের
আভিশকা ফার্নান্দো ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ বলের ব্যাবধানে ১৭ রান করা এই লঙ্কান ওপেনারকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। ২৩ রানে প্রথম উইকেটের পতন হলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন তানজিদ হাসান তামিম ও টম ব্রুস।
তামিম ৪০ বল খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন। আর ব্রুস অপরাজিত ছিলেন ৫১ রান করে। এই ব্যাটারের ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম দল। এবারের আসরে ৫ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের শীর্ষে আছে শুভাগত হোমের দলটি।
আরও পড়ুন: সাকিবের সাথে আজ বসছে তদন্ত কমিটি
এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে বাউন্ডারি মেরে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সিলেট ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে আগের তিন ম্যাচের মতো এদিনও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না বাঁ-হাতি এ ওপেনার। বিলাল খানের সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭ বলে মাত্র ৫ রান। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুনও নামলেন আর ড্রেসিং রমের পথ ধরলেন।
শুরুর ধাক্কা সামলে ইনিংস মেরামতের হাল ধরেন হ্যারি টেক্টর ও জাকির হাসান। এই দুজনের জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান। গত ম্যাচের মতো এদিনও দারুণ খেলছিলেন জাকির হাসান। ১১তম ওভারে নিহাদউজ্জামানকে উড়িঁয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তরুণ এই ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রথম জয়ের সন্ধানে ব্যাটিংয়ে মাশরাফির সিলেট
অপরপ্রান্তে থাকা টেক্টর বেশ কিছুটা সময় ক্রিজে টিকে থাকলেও খুব একটা স্বস্তিতে ছিলেন না এই ব্যাটার। একবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলের ব্যাবধানে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করে বিলাল খানের বলে আউট হন।
রায়ার্নও শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি। ২৯ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটার। অন্যদিকে ১২ বলে ১ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৭ রান করেছেন আরিফুল ইসলাম। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেছেন বিলাল খান। নিহাদুজ্জামান নিয়েছেন একটি উইকেট।
এমএল/